ঢাকা, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২
মোদিকে যু-দ্ধ বন্ধে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র, নেপথ্যে ভী’তিকর গোয়েন্দা তথ্য

ডুয়া ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে কার্যকর হয়েছে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি। ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী টানা আলোচনার পর এই চুক্তির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলোচনায় নেতৃত্ব দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
তবে সাম্প্রতিক এই যুদ্ধবিরতির পেছনে আরও গভীর একটি প্রেক্ষাপট সামনে এনেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। তাদের দাবি, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যখন সংঘাত দ্রুত তীব্র হচ্ছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু ভীতিকর গোয়েন্দা তথ্য হাতে পায়, যা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে। খবর সিএনএনের
এই তথ্য পাওয়ার পরই ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবহিত করেন এবং দ্রুত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে সরাসরি শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানান। হোয়াইট হাউসের উদ্বেগ ছিল, সংঘাত অব্যাহত থাকলে সপ্তাহান্তেই তা বড় ধরনের যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে।
মার্কিন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা—জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিওসহ হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস—উভয় দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের গুরুত্ব বিবেচনায় তারা সক্রিয়ভাবে আলোচনার পথ উন্মুক্ত করতে কাজ শুরু করেন।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্যান্স মোদিকে ফোন করে বোঝান এখনই সময় আলোচনায় ফিরবার এবং সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল, সেই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে কোনও সরাসরি কূটনৈতিক সংলাপ হচ্ছিল না। তাই ভ্যান্স শান্তিপূর্ণ বিকল্প একটি প্রস্তাব দেন, যা পাকিস্তান গ্রহণ করতে পারে বলেও বিশ্বাস করতেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
এরপরই রাতভর মার্কিন কূটনীতিকরা ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগে লিপ্ত হন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনও চুক্তির খসড়ায় অংশ নেয়নি। তবে তারা আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখে।
প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, জেডি ভ্যান্সের মোদির সঙ্গে সরাসরি ফোনালাপ এই পুরো প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক ছিল। ভ্যান্সের সঙ্গে মোদির আগে থেকেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায় ফোনালাপটি আরও ফলপ্রসূ হয় বলে হোয়াইট হাউস বিশ্বাস করে।
সিএনএন জানায়, এই উদ্যোগের ফলে দুই দেশ পুনরায় আলোচনায় বসার সুযোগ পায় এবং শেষপর্যন্ত সংঘাত প্রশমিত হয়। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ থামাতে একটি নিরপেক্ষ সেতুবন্ধনের কাজ করেছে, যার ফল এখন দৃশ্যমান।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব