ঢাকা, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ আয়োজিত নাগরিক ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এই প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মো. নাজিমুল হক।
সভায় বক্তৃতা করেন টাইমস ইউনিভার্সিটির বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. মো. জয়নুল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এসএফ ফরমানুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. আলমগীর অপূর্ব এবং কাজী আমিনুল করিম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদের সমন্বয়ক মো. সালাহ উদ্দিন কবির।
সভায় জাতীয় সরকারের যে রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়, তাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, ড. বদিউল আলম মজুমদারকে উপ-রাষ্ট্রপতি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী এবং জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এছাড়া নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পদে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের জন্য একটি আনুপাতিক কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়। সেখানে বলা হয়, বিএনপি পাবে ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামী আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (যেমন সমাজসেবক, পেশাজীবী) ১০ শতাংশ এবং বাকি রাজনৈতিক দলসমূহ ২৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব পাবে।
সভায় বক্তারা বলেন, এই জাতীয় সরকার কাঠামোর মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার একটি ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা যেতে পারে। যেখানে সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর অপরিসীম ক্ষমতার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতা বণ্টনের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বক্তারা বলেন, এই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি সর্বজনগ্রাহ্য কাঠামো তৈরি করতে হবে। জাতীয় সরকার হবে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল ও অংশগ্রহণমূলক, যেখানে শাসক শ্রেণি নয়, বরং জনগণের সেবক হিসেবে সরকার পরিচালিত হবে।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব শক্তির সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সরকারের ওপর সর্বসম্মত ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিও হিসাবে ৫ লাখ টাকা নগদ জমা ও উত্তোলনের কথা ভাবছে বিএসইসি
- সরকারি কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ, তালিকায় ২১ প্রতিষ্ঠান
- ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন বাতিল করল বিএসইসি
- বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন অর্থ উপদেষ্টা
- ‘এলাম পরামর্শ নিতে, পেলাম পদত্যাগের বার্তা’- বিএসইসি চেয়ারম্যানের ক্ষোভ
- মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও পাবলিক রুলস ইস্যুতে টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত সুপারিশ
- দশ হাজার কোটি ঋণের বোঝায় আইসিবি, প্রস্তাব বিশেষ তহবিলের
- দুর্বল ৬ শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের হতাশা আরও বেড়েছে
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
- ঢাকা অচলের ঘোষণা
- তিন কোম্পানির বোনাস ডিভিডেন্ডে বিএসইসির সম্মতি
- লোকসান থেকে মুনাফায় বস্ত্র খাতের চার কোম্পানি
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজারে ৬১৭টি বিও হিসাব স্থগিত