ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ আগস্ট ১৫ ১৬:১৭:১১
‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনে অংশ না নিলে ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

টক শোতে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ যেমন ১৮ ও ৭৩ একতরফা নির্বাচন করেছে এবং সেটা করেছে অন্যায্যভাবে, এবারের নির্বাচনও ফেয়ার ও সুষ্ঠু হলেও একতরফা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বিএনপির ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোনো প্রার্থী তাদের নেই। সব দল একত্র হলেও বিএনপির বিরুদ্ধে ১০০ জন প্রার্থী দেওয়াও কঠিন হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিএনপি নিজেই। প্রায় ১৩০-১৩৫ আসনে তাদের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে এবং তারা একে অপরের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। তাহলে একতরফা সুষ্ঠু নির্বাচন বিএনপির জন্য কতটা সম্মানজনক হবে? বিএনপি ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছে—কেউ ছিল না।

ফুয়াদ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। আমরা অনেক বিষয়েই একমত হলেও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। যেমন—নারীদের আসন ৫০ থেকে ১০০-তে নেওয়া বা ন্যূনতম ৫% সিটে সরাসরি নমিনেশন দেওয়ার বিষয়ে যদি আমরা একমত হই তাহলে ২০৩১ বা ২০৩২ পর্যন্ত অপেক্ষা কেন? একইভাবে কেউ দুই টার্মের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারার নিয়মও এখনই কার্যকর হওয়া উচিত।

তার মতে, সব দল নির্বাচনে গেলেও নির্বাচন বিএনপির একতরফা বিজয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে। এরপর বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে জামায়াত ও চরমোনাই—যারা বিএনপির পরেই বড় রাজনৈতিক শক্তি। তারা যদি সংসদে পিআর (Proportional Representation) ব্যবস্থার দাবি নিয়ে অনড় থাকে এবং এনসিপি যদি পদ্ধতি ও সংস্কার বিষয়ে একমত না হয়ে নির্বাচন বয়কট করে তাহলে নির্বাচন একতরফা হয়ে যাবে।

এবি পার্টির এই নেতা বলেন, তখন সরকারের ও বিএনপির সামনে বিকল্প থাকবে যে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আসন বণ্টন করা। কিন্তু সেটি দেশের ও বিএনপির জন্য কতটা সম্মানজনক হবে সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ।

ফুয়াদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ভালো নির্বাচন আয়োজন করবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না তাই এমন নির্বাচনের দায় তারা নেবেন না। তখন এমনও হতে পারে—প্রফেসর ইউনূস যিনি একাধিকবার দায়িত্ব ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবারও নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, তবে এসব সংকট সমাধানযোগ্য। জামায়াত, চরমোনাই ও এনসিপি যে দাবিগুলো তুলছে সেগুলো সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু এজন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে এবং বিএনপিকে নেতৃত্ব দেখাতে হবে। কারণ অন্যরা না করলেও ঐতিহাসিকভাবে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত