ঢাকা, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর

শেয়ারবাজারে চলমান অস্থিরতার জন্য নেতৃত্ব সংকটকে দায়ী করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মকসুদকে অপসারণের আনুষ্ঠানিক দাবি জানিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার (২৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এই দাবি তোলা হয়। বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান মকসুদ নিজেও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিনিয়োগকারী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি এবং বলেছি তিনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সম্পূর্ণ অদক্ষ। আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তার অপসারণের দাবি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর কাছে তুলে ধরেছি। তাকে অপসারণ না করলে বাজারে আস্থা ফিরবে না।”
বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মূলধন বাজার সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাও রাখেন না। তাদের মতে, এই অভিমত শুধুমাত্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নয়, বরং সাবেক বিএসইসি চেয়ারম্যান ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের মধ্যেও একই দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজমান।
তারা বলেন, প্রতিদিন শেয়ারবাজারে যে পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা সহ্যের বাইরে চলে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে শেয়ারবাজার একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে। এর ফলে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলিও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে, কর্মী ছাঁটাই ও বেকারত্ব বাড়ছে।
বিনিয়োগকারীরা আরও বলেন, বাজারের সব শ্রেণির বিনিয়োগকারী এখন নেতৃত্ব পরিবর্তনের পক্ষে একতাবদ্ধ। তাদের চলমান প্রতিবাদের অংশ হিসেবে প্রতীকী কফিন ও কাফনের কাপড় নিয়ে শোভাযাত্রা করা হয়েছে, যাতে করে বাজারের ভয়াবহ অবস্থা তুলে ধরা যায়।
সভায় বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর কাছে একটি দাবি-স্মারকলিপিও পেশ করা হয়। এর মধ্যে ছিল বিনিয়োগকারী স্বার্থ রক্ষায় ফোর্সড সেল বন্ধ করা এবং বাজারে তারল্য বৃদ্ধির নানা প্রস্তাবনা।
বিএসইসি সূত্র জানায়, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বাজার সংশ্লিষ্ট আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিনিময় হয়।
বৈঠক শেষে বিএসইসি মুখপাত্র ও পরিচালক মো. আবুল কালাম বলেন, “বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ফোর্স সেল নীতির কারণে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন—সেটি তারা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। কীভাবে এটি বন্ধ করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, বিনিয়োগকারীরা ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর কাছে লিখিত বক্তব্য ও কিছু নথি হস্তান্তর করেছেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—৬১৭টি বিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার ঘটনা, পেনশন ও জীবন বীমা তহবিল বাজারে ব্যবহারের বিষয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির প্রস্তাবনা।
বৈঠকে বিএসইসির দুই কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী ও মো. আলী আকবরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস