ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ঔষধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি-এর বাজার মূলধন নয় মাস পর আবার ২০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। সম্প্রতি শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে বলছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসের শুরু থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১১ শতাংশ বেড়ে ২২৯ টাকা ৮০ পয়সায় পৌঁছেছে। এর ফলে স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধন ১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা বেড়ে ২০ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা হয়েছে, যা ডিএসইতে এটিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত করেছে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট এই মাইলফলক অর্জন করেছিল, যখন এর বাজার মূলধন ২০ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। এরপর ৯ অক্টোবরের মধ্যে এটি ধীরে ধীরে ২০ হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে আসে।
বর্তমানে গ্রামীণফোন ৪২ হাজার ২২৪ কোটি টাকা বাজার মূলধন নিয়ে ডিএসই-তে শীর্ষস্থানে রয়েছে, যা ডিএসই-এর মোট বাজার মূলধনের ১১.৫৯ শতাংশ। ডিএসইর বাজার মূলধনে স্কয়ার ফার্মার অবদান ৫.৫৯ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষকরা স্কয়ার ফার্মার এই উত্থানের কারণ হিসেবে কোম্পানিটির শক্তিশালী মৌলিক বিষয়গুলোকে উল্লেখ করছেন। কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব এবং মুনাফা উভয় ক্ষেত্রেই দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে এবং গত তিন বছর ধরে ১০০ শতাংশের বেশি ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানের রেকর্ড রয়েছে।
কোম্পানিটির পারফরম্যান্স সত্ত্বেও শেয়ারটি এখনো অবমূল্যায়িত রয়ে গেছে। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এর মূল্য আয় (পিই রেশিও) অনুপাত ৮.১৫ এবং নিরীক্ষিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৯.৭৩। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই মূল্যায়ন পার্থক্যই বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে, যারা ঊর্ধ্বমুখী সম্ভাবনার সুযোগ নিতে চাইছেন।
স্কয়ার ফার্মার সর্বশেষ শেয়ারহোল্ডিং তথ্য (জুন ২০২৫) অনুযায়ী, স্পনসর ও পরিচালকদের কাছে ৪৩.৫৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪.০৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫.১৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭.২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ১৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৮ টাকা ২৪ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পাটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫১ টাকা ৯৪ পয়সায়। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪২ টাকা ০৫ পয়সা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর