আজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, অংশগ্রহণে সাড়ে ৫ লাখ পরীক্ষার্থী

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (৩১ মে) দেশের ৬৪টি জেলা শহরে একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা। এতে অংশ নিচ্ছেন ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে মোট ৮৭৯টি কেন্দ্রে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ শুক্রবার (৩০ মে) ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত নগর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কেন্দ্রসংখ্যা ও বিতরণ:

৮৭৯টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছে সর্বোচ্চ ২৪৭টি। এরপর খুলনায় ১৫৬টি, রাজশাহীতে ১৪৩টি, চট্টগ্রামে ১৩৪টি, রংপুরে ৯৬টি, বরিশালে ৫৯টি এবং সিলেট বিভাগে ৪৪টি কেন্দ্র নির্ধারিত হয়েছে। সরকারি কলেজ ছাড়াও স্থানীয় কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

পরীক্ষার ধরন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি:

এই ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী) পদ্ধতিতে। ১ ঘণ্টাব্যাপী এই পরীক্ষায় মোট নম্বর ১০০। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর দেওয়া হবে। তবে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫।

ভর্তি পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে প্রার্থীর এসএসসি পরীক্ষার জিপিএর ৪০ শতাংশ ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে সর্বমোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।

আসনসংখ্যা ও কোটা ব্যবস্থা:

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৬৪টি সরকারি এবং ৬১৭টি বেসরকারি কলেজ। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এই কোর্সে মোট আসন ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।

এছাড়া ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি (পাস কোর্স) প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। দেশের ১ হাজার ৯৬৯টি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে শিক্ষা দেওয়া হয়।

ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন কোটার জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩টি, আদিবাসী ১টি, প্রতিবন্ধী ১টি এবং পোষ্য কোটার জন্য ৩টি আসন নির্ধারিত রয়েছে।

আট বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা ফিরে এলো। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ ও উত্তেজনা দেখা গেছে।