ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা

ধারাবাহিক পতন ঠেকাতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। এরপর বাজারের কিছুটা উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এখনো বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়নি। তবে বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় কোম্পানিটির উপর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার পর বড় মূলধনী হিসাবে যদি সূচকে নেতিবাচক প্রভাব দেখাও যায়, তাহলে বাজারে বর্তমানে সাপোর্ট দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। বিএসইসি ও ডিএসইর একটি সূত্র জানিয়েছে, বাজার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় চলতি সপ্তাহে কোম্পানিটির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হতে পারে।
এর আগে ২০২০ সালের মার্চে দেশের শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস যুগের শুরু হয়। কভিড সংক্রমণের প্রভাবে শেয়ারবাজারে দরপতন তীব্র হয়ে উঠলে তা ঠেকাতে সে বছরের ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এক বছরেরও বেশি সময় পর ২০২১ সালের ১৭ জুন ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের অর্থনীতে অস্থিরতা শুরু হলে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এর পাঁচ মাসের মাথায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ১৬৯টি কোম্পানির ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। যদিও এসব কোম্পানি শেয়ারদর কমতে শুরু করলে দুই মাস পরই ২০২৩ সালের ১ মার্চ আবারো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়।
২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট বিএসইসির ৯১৬তম জরুরি কমিশন সভায় দুই প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারে সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ওপর ফ্লোরপ্রাইস অব্যাহত রাখা হয়। তবে পরবর্তীতে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্ত ইসলামী ব্যাংকের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হলেও বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত রাখা হয়। এর ফলে এখনো পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার কেনা বেচার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আপার এবং লোয়ার সার্কিট বিদ্যমান রয়েছে।
বিবিধ খাতের ‘বি’ ক্যাটাগরির বেক্সিমকো লিমিটেড ১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির পরিশোধিত মুলধন ৯৪৩ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বিপরীতে বর্তমান রিজার্ভ রয়েছে ৭ হাজার ৫৯২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সর্বশেষ প্রকাশিত দুই প্রান্তিকের (জুলাই-ডিসেম্বর’২৪) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৭৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল শেয়ারপ্রতি মুনাফা ০৩ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমুল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ৫৭ পয়সায়। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৫৮ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ১১০ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ সালে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ