ঢাকা, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
শেয়ারবাজারে ১০ মাসের সর্বোচ্চ সাপ্তাহিক উত্থান

দেশের শেয়ারবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে এক দারুণ ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে, যেখানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩.৫৬ শতাংশ বেড়েছে। এটি গত ১০ মাসের মধ্যে একক সপ্তাহের সর্বোচ্চ উত্থান, যা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির উদ্বেগ সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের আশঙ্কা বাজারে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি করলেও দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর উন্নতি এই উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি খাত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে, যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি ৮.৬ শতাংশ বেড়ে ৪৮.২৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
এছাড়াও, সরকারি সিকিউরিটিজের ইল্ড রেট নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে এবং গত সপ্তাহে সরকার সকল প্রধান সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ৪৭ থেকে ৫৭ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে, যা অর্থবাজারে সুদের হার কমার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাধারণত সুদের হার কমলে শেয়ারবাজার বাজার চাঙ্গা হয়।
বিনিয়োগকারীরা আর্থিক খাতে সুশাসন ফিরে আসার বিষয়েও আশাবাদী। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন আনছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উন্নয়নগুলো উচ্চ নিট-সম্পদধারী বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং তারা কম মূল্যের ব্লু-চিপ স্টকগুলোতে অবস্থান নিচ্ছে।
সপ্তাহব্যাপী বাজারের চিত্র
বিদায়ী সপ্তাহে বাজার একটি বুলিশ নোটে শুরু হয়েছিল, যার মূল চালিকাশক্তি ছিল ব্যাংক খাত। সপ্তাহের তৃতীয় দিনে মূল সূচক ৫ হাজার পয়েন্টের সীমা অতিক্রম করে, যা শক্তিশালী ক্রয়চাপের ইঙ্গিত দেয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এই সপ্তাহে ১৭৪ পয়েন্ট বা ৩.৫৬ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৬৮ পয়েন্টে স্থির হয়েছে। লেনদেন মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে চারটি ট্রেডিং দিনই ইতিবাচকভাবে শেষ হয়েছে।
গত পাঁচ সপ্তাহে ডিএসইএক্স প্রায় ৪৩০ পয়েন্ট পুনরুদ্ধার করেছে এবং এই সময়ের মধ্যে বাজার মূলধন ২৬২ বিলিয়ন টাকা বেড়ে সপ্তাহের শেষে ৬.৭৭ ট্রিলিয়ন টাকায় দাঁড়িয়েছে।
ইবিএল সিকিউরিটিজের সাপ্তাহিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি রপ্তানির ওপর প্রস্তাবিত শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ব্যাংকিং খাতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ এবং ইতিবাচক সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব স্থিতিশীল ছিল।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারের পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে ঢাবির ৫৪তম সমাবর্তন
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- ভারতের ২৫০ সেনা নিহত
- চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ভয়াবহ বিপদ, গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, মারা গেলেন ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী
- শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতে বিক্রেতা সংকটের নতুন দিগন্ত
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- তাসনিম জারার হাফ প্যান্ট পরা ভাইরাল ছবি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য
- কারো বাবা শেষ সম্বল বিক্রি করেছেন, কারো বাবাই নেই
- শোক সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলক
- ১৫ দিনে ১৭ প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা