ঢাকা, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
এস আলমের ৬৪ ব্যাংক হিসাব, ১০ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ

দেশের আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও পরিবারের নামে সিঙ্গাপুরে থাকা ৬৪টি ব্যাংক হিসাব ও ১০টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ।
সিঙ্গাপুরে অবরুদ্ধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে সাইফুল আলমের ৪০টি ব্যাংক হিসাব, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের ছয়টি ব্যাংক হিসাব এবং তাঁদের যৌথ মালিকানাধীন আটটি কোম্পানির শেয়ার। এছাড়া তাঁদের ছেলে আশরাফুল আলমের সাতটি ব্যাংক হিসাব ও একটি কোম্পানির শেয়ার, ছেলে আহসানুল আলমের সাতটি ব্যাংক হিসাব ও একটি কোম্পানির শেয়ার এবং ছেলে আসাদুল আলম মাহির একটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। মাহির শ্যালক আহমেদ বেলালের দুটি ব্যাংক হিসাব ও সাইফুল আলমের বোন মাইমুনা খানমের একটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক একটি আবেদন দাখিল করলে শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময়ে সাইফুল আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক আদেশ দেন আদালত।
৭ অক্টোবর সাইফুল আলম, তার স্ত্রীসহ পরিবারের ১২ সদস্যের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ১৬ জানুয়ারি আদালত ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি ১৭৫ বিঘা জমি (যার বাজারমূল্য ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা) জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। ১২ ফেব্রুয়ারিতে ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা মূল্যের ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি আরও ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ আসে। ১০ মার্চ ১ হাজার ৬ বিঘা জমি এবং ৯ এপ্রিল আরও ৯০ বিঘা জমি জব্দ করা হয়। একইদিন ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা ৩৭৪টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়।
১৭ এপ্রিল এস আলমের ১ হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। এতে মোট ২ হাজার ৬১৯ কোটি ৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা জমা ছিল। ২৩ এপ্রিল ১৫৯ একর জমি, যার মূল্য ৪০৭ কোটি টাকা, জব্দের আদেশ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল তার ও স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১ হাজার ১৪ বিঘা জমি (মূল্য ৫৫৯ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা) এবং ১৭ জুন ২০০ একর জমি (মূল্য ১৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা) জব্দ করা হয়।
২৪ জুনও জব্দের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে সাইফুল আলম ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ১৮টি কোম্পানির শেয়ার এবং জার্সিতে থাকা ছয়টি ট্রাস্ট কোম্পানির শেয়ারও অবরুদ্ধ করা হয়। সবশেষ ১০ জুলাই সাইফুল আলমের নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারের পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে ঢাবির ৫৪তম সমাবর্তন
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১২ কোম্পানি
- প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে পাঁচ কোম্পানি
- ১৭ কোম্পানি শেয়ারে সফল বিনিয়োগ, ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- ভারতের ২৫০ সেনা নিহত
- হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, মারা গেলেন ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী
- চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ভয়াবহ বিপদ, গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতে বিক্রেতা সংকটের নতুন দিগন্ত
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- তাসনিম জারার হাফ প্যান্ট পরা ভাইরাল ছবি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য
- কারো বাবা শেষ সম্বল বিক্রি করেছেন, কারো বাবাই নেই
- শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় ডুয়ার অফিস খোলা : শামসুজ্জামান দুদু