ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
৩৫% শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ আলোচনা : ঐকমত্যের পথে উভয়পক্ষ

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্কসংক্রান্ত দ্বিতীয় দফা আলোচনার প্রথম দিন শেষ হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া দুই দেশের প্রতিনিধিরা বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ৩টায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনার প্রথম দিন শেষ হয়েছে। পরবর্তী দুই দিনও আলোচনা চলবে। যুক্তি-তর্কের পর অধিকাংশ বিষয়ে দুইপক্ষ একমত হয়েছে। তবে এখনই চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, আলোচনা হয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে। আজ বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়) ফের আলোচনা হবে। চূড়ান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খালিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এছাড়া ঢাকায় কর্মরত বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী সরাসরি ওয়াশিংটনে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন দেশটির কৃষি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও কপিরাইট সংক্রান্ত সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা। আলোচনার মূল লক্ষ্য একটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করা—যা বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক থেকে ছাড় পাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, “শুধু শুল্ক নয়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সামগ্রিক বিষয়গুলো আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে। দেশের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা ছাড়ার আগে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাওয়া একটি চুক্তির খসড়া ও আনুষঙ্গিক নথি পাঠিয়েছে যেখানে এলএনজি, গম, তুলা, সামরিক সরঞ্জাম, উড়োজাহাজসহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানি সহজীকরণের প্রস্তাব রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী পণ্যে শুল্ক ছাড় দিতে বাংলাদেশ আগ্রহ দেখালেও এতে দেশের বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সরকার ইতিমধ্যে বোয়িং উড়োজাহাজ কেনাসহ এলএনজি, গম ও তুলা আমদানির পদক্ষেপ নিয়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করে বাংলাদেশে যেখানে ভিয়েতনামের ক্ষেত্রে এই হার ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের মতো দেশগুলোর ক্ষেত্রেও শুল্কহার তুলনামূলকভাবে কম। এ কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে চাপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ