ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২
রাবিতে আ.লীগপন্থী ৩ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিনজন আওয়ামী লীগপন্থী কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) কর্মস্থল থেকে তাদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী।
সাবেক শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় তারা এজাহারভুক্ত আসামি। বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক।
গ্রেপ্তার হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- সেকশন অফিসার পঙ্কজ কুমার, অর্থ ও হিসাব শাখার উপপরিচালক আমিনুল হক এবং সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসুদ।
২০১৬-১৭ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী ও আইন বিভাগের ছাত্র আল আমিন বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে এজাহারভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আজ আমরা তাদের লিগ্যাল সেলে ডাকি। পরে প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ এসে তাদের গ্রেপ্তার করে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাবেক শিক্ষার্থী দাবি করেন, “তিনজনই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের ক্যাডার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৮ ও ২০২৩ সালের সহিংস ঘটনায়ও তারা জড়িত ছিলেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।”
তবে গ্রেপ্তার হওয়া কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সেকশন অফিসার পঙ্কজ কুমার বলেন, “আমি ৫ আগস্ট বাসা থেকেই বের হইনি। কোনো শিক্ষার্থীকে আঘাত করিনি। হঠাৎ করে আমাকে ধরে আনা হয়েছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।”
সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, “ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও চাকরিজীবনে আমি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম না। আমি নিজেই একসময় ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম। যারা আজ আমাদের ধরেছে তারা জামায়াত-শিবিরের লোক বলেই মনে হচ্ছে।”
‘জুলাই বিপ্লব চেতনা বাস্তবায়ন কমিটি’র আহ্বায়ক ও ইতিহাস বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. মুস্তফিজুর রহমান বলেন, “মামলার আসামি হয়েও তারা জামিন না নিয়ে প্রশাসনে বহাল ছিলেন। আওয়ামী লীগের অনুগত কেউ প্রশাসনে টিকে থাকতে পারবে না।আমরা এর প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।”
ওসি আবদুল মালেক বলেন, “তারা এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আইনগত প্রক্রিয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “পুলিশ যথাযথ তথ্য-প্রমাণ দেখিয়েছে। তাই আমি তাদের আটকাতে বাধা দিইনি। তবে সাবেক শিক্ষার্থীদের এমন হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এটা পুলিশের কাজ।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা