ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ ভাদ্র ১৪৩২
রাবিতে আ.লীগপন্থী ৩ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিনজন আওয়ামী লীগপন্থী কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) কর্মস্থল থেকে তাদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী।
সাবেক শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় তারা এজাহারভুক্ত আসামি। বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক।
গ্রেপ্তার হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- সেকশন অফিসার পঙ্কজ কুমার, অর্থ ও হিসাব শাখার উপপরিচালক আমিনুল হক এবং সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসুদ।
২০১৬-১৭ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী ও আইন বিভাগের ছাত্র আল আমিন বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে এজাহারভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আজ আমরা তাদের লিগ্যাল সেলে ডাকি। পরে প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ এসে তাদের গ্রেপ্তার করে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাবেক শিক্ষার্থী দাবি করেন, “তিনজনই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের ক্যাডার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৮ ও ২০২৩ সালের সহিংস ঘটনায়ও তারা জড়িত ছিলেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।”
তবে গ্রেপ্তার হওয়া কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সেকশন অফিসার পঙ্কজ কুমার বলেন, “আমি ৫ আগস্ট বাসা থেকেই বের হইনি। কোনো শিক্ষার্থীকে আঘাত করিনি। হঠাৎ করে আমাকে ধরে আনা হয়েছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।”
সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, “ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও চাকরিজীবনে আমি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম না। আমি নিজেই একসময় ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম। যারা আজ আমাদের ধরেছে তারা জামায়াত-শিবিরের লোক বলেই মনে হচ্ছে।”
‘জুলাই বিপ্লব চেতনা বাস্তবায়ন কমিটি’র আহ্বায়ক ও ইতিহাস বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. মুস্তফিজুর রহমান বলেন, “মামলার আসামি হয়েও তারা জামিন না নিয়ে প্রশাসনে বহাল ছিলেন। আওয়ামী লীগের অনুগত কেউ প্রশাসনে টিকে থাকতে পারবে না।আমরা এর প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।”
ওসি আবদুল মালেক বলেন, “তারা এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আইনগত প্রক্রিয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “পুলিশ যথাযথ তথ্য-প্রমাণ দেখিয়েছে। তাই আমি তাদের আটকাতে বাধা দিইনি। তবে সাবেক শিক্ষার্থীদের এমন হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এটা পুলিশের কাজ।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে
- ব্যাংকিং খাতে এমডিদের পদত্যাগের ঢেউ: সুশাসনের সংকট স্পষ্ট