ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২

ঘুমের আগে ৫ মিনিট: স্বাস্থ্যের প্রশান্তিসহ কমবে মানসিক চাপ

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৬:৩০:৫৮

ঘুমের আগে ৫ মিনিট: স্বাস্থ্যের প্রশান্তিসহ কমবে মানসিক চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, ঘুমের আগে মাত্র ৫ মিনিটের হালকা স্ট্রেচিং রুটিন নিয়মিত করলে শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না, বরং মানসিক চাপও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ঘুমের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং দিনের ক্লান্তি দূর করে পরবর্তী দিনের শক্তি ও মনোবল বাড়ায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, হালকা স্ট্রেচিং করলে পেশি নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়, যা বিশেষ করে রাতের মধ্যরাতে পা বা পিঠে ব্যথা বা অস্বস্তি কমাতে সহায়ক। এছাড়া, এটি শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং ঘুমের সময় শরীরের পুনরায় জ্বালানি সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, ঘুমের আগে এই স্ট্রেচিং রুটিন মানসিক চাপও কমায়। দৈনন্দিন জীবনের চাপ এবং মানসিক উদ্বেগ অনেকাংশে শরীরের ক্লান্তি ও ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। হালকা স্ট্রেচিং করলে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো সুখানুভূতি উদ্দীপক রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, যা মানসিক স্থিতিশীলতা এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সহায়ক।

গবেষকরা সুনির্দিষ্টভাবে বলছেন, দিনের কাজের পর বা রাতের খাবারের পর ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ করে নিয়মিত স্ট্রেচিং করলে এটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে পরিণত হয়। পেশি ও স্নায়ুর জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী এবং ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি প্রায়শই একটি প্রাকৃতিক সমাধান হিসাবে কাজ করে।

ডাক্তাররা আরও উল্লেখ করেছেন, যারা রাতের ঘুমের সময় প্রায়শই পা বা পিঠে ব্যথা অনুভব করেন, তাদের জন্য ঘুমের আগে হালকা স্ট্রেচিং অত্যন্ত কার্যকর। এটি শুধু ঘুমকে গভীর করে না, বরং পরবর্তী দিনের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

গবেষণায় অংশ নেওয়া প্রায় ৫০০ জন প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। দেখা গেছে, যারা রাতে স্ট্রেচিং করছিলেন, তারা পরবর্তীতে মানসিক চাপ কম এবং ঘুমের মান ভালো হওয়ার কথা জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা এবং প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারজনিত মানসিক চাপ কমাতে ঘুমের আগে স্ট্রেচিংকে একটি সহজ, কার্যকরী ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করা যায়।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত