ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানাতে কানাডাকে যে লোভ দেখালেন ট্রাম্প
.jpg)
ফের প্রতিবেশী রাষ্ট্র কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, এবার দেশটিকে গোল্ডেন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেমের লোভ দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “৫১ তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দিলে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম বিনামূল্যে প্রদান করা হবে কানাডাকে।”
‘আকর্ষণীয়’ এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও কানাডার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হওয়ার সুযোগ এখনো থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে দেশটিকে গুনতে হতে পারে ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
আজ বুধবার (২৮ মে) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ একটি পোস্টে কানাডার উদ্দেশে এই প্রস্তাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ট্রাম্প ‘গোল্ডেন ডোম’ নামের একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উদ্বোধন করেছেন। এই সিস্টেম শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় বরং দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিস্তৃত একটি অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম। প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে এই প্রতিরক্ষা সুবিধা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে কানাডা এই সেবায় আগ্রহ দেখিয়েছে জানিয়ে ট্রম্প বলেন বলেন, “গোল্ডেন ডোম একটি অসাধারণ সিস্টেম এবং কানাডা এই সিস্টেমের অংশ হওয়ার জন্য খুবই আগ্রহী। আমি কানাডাকে বলেছি যে যদি তারা এই পরিষেবা পেতে চায়, তাহলে অটোয়াকে ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার গুনতে হবে।”
“তবে কানাডা যদি ৫১ তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দেয়, সেক্ষেত্রে আমরা একটা পয়সাও নেবো না।” তারা এই প্রস্তাব বিবেচনা করছে বলেও জানান তিনি।
ট্রাম্পের এই দাবির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কানাডার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘তিনি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে দেখতে চান।’ নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন তিনি, যেখানে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়।
পরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প জানান, ‘কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করতে হলে তিনি অর্থনৈতিক প্রভাব ও চাপ প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।’
তবে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ট্রাম্পের এই প্রস্তাব এবং হুমকিকে সরাসরি খারিজ করে দিয়ে বলেছিলেন, “কানাডা কোনো দিনও যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হবে না।”
উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা একত্রে নর্থ আমেরিকান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (নোরাড) নামে একটি সামরিক নিরাপত্তা চুক্তিতে যুক্ত রয়েছে। এই চুক্তির আওতায়, দুই দেশের যেকোনো একটির ওপর হামলা হলে অন্যটি শর্তহীনভাবে পাশে দাঁড়ানোর বাধ্যবাধকতায় রয়েছে।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের গতিপথ কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। এর ফলে নোরাড চুক্তি এখন কানাডার জন্য উদ্বেগের একটি উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র : এএফপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: এক কোম্পানির শেয়ার কিনলেন উদ্যোক্তারা
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- বড় আন্দোলনে নামছে ৩ 'দল'
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- মুনাফা বেড়েছে বিবিধ খাতের ৬ কোম্পানির
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- মোবাইল কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে বিশেষ প্রণোদনা
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃ'ত্যু ৬
- ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ওষুধ খাতের ১৩ কোম্পানির
- ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- বস্ত্র খাতে মুনাফা বেড়েছে ২০ কোম্পানির