ঢাকা, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
ভয়াবহ আগু’নে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি অঙ্গরাজ্য

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভয়াবহ আগুনের ক্ষত শেষ হতে না হতেই আরেক রাজ্য আগুনে পুড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় অবস্থিত ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন লজ ভয়াবহ দাবানলে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। ৯৬ বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটির পাশাপাশি আশপাশের আরও ৫০ থেকে ৮০টি অবকাঠামো আগুনে পুড়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস (NPS)।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের নর্থ রিম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শত শত পর্যটক ও বাসিন্দাকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের নর্থ রিম এবং আশপাশের এলাকায় দুইটি দাবানল- ‘ড্রাগন ব্রাভো ফায়ার’ ও ‘হোয়াইট সেজ ফায়ার’ তাণ্ডব চালাচ্ছে। এর মধ্যে ড্রাগন ব্রাভো ফায়ার সরাসরি ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন লজসহ আশপাশের বহু স্থাপনা পুড়িয়ে দিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৪ জুলাই বজ্রপাত থেকে ড্রাগন ব্রাভো ফায়ারের সূত্রপাত হয়। এক সপ্তাহের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্রায় ৫০০ একর (প্রায় ২০০ হেক্টর) এলাকায়। দাবানলটি ঘণ্টায় ৩২ কিলোমিটার বেগে বিস্তার লাভ করে এবং দমকা হাওয়ার গতি ছিল সর্বোচ্চ ৬৪ কিমি/ঘণ্টা।
অন্যদিকে, হোয়াইট সেজ ফায়ার শুরু হয় ৯ জুলাই। ১৩ জুলাই পর্যন্ত তা ছড়িয়ে পড়ে ৪০,১৮৬ একর এলাকায়। যদিও এ পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস (NPS) জানিয়েছে, সকল পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দাবানলে ধ্বংস হওয়া গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন লজ একটি মৌসুমি হোটেল। এটি ১৯২৮ সাল থেকে নর্থ রিমে পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসছিল। ১৯৩২ সালে রান্নাঘরের আগুনে প্রথম লজটি ধ্বংস হয় এবং পরে ১৯৩৭ সালে তা পুনর্নির্মাণ করা হয়। প্রতি বছর মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। চলতি বছর ১৫ মে চালু হওয়া লজটি ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকার কথা ছিল। তবে এবার মূল ভবনসহ আশপাশের ১২০টি কেবিন আগুনে পুড়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৫০০ জনের বেশি ফায়ারফাইটার হোয়াইট সেজ ফায়ার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। আকাশপথে বিশেষ রাসায়নিক ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টাও চলছে। ড্রাগন ব্রাভো ফায়ার নিয়ন্ত্রণেও দমকলকর্মীরা নিরলস কাজ করছেন। তবে গরম আবহাওয়া, শুষ্কতা এবং ঝোড়ো বাতাস পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।
উল্লেখ্য, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নকে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ প্রাকৃতিক বিস্ময় বলা হয়। এটি কোলোরাডো নদী দ্বারা গঠিত। এটি প্রায় ৪৪৬ কিমি দীর্ঘ, ২৯ কিমি প্রস্থ এবং ১.৬ কিমি গভীর এবং পৃথিবীর প্রায় ২ বিলিয়ন বছরের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস এর গঠনে দৃশ্যমান।
এটি জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এছাড়াও ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত। প্রতিবছর কোটি কোটি পর্যটক এই পার্ক ভ্রমণ করেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ভয়াবহ বিপদ, গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- শোক সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলক
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ১৫ দিনে ১৭ প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- সর্বোচ্চ আগ্রহের তালিকায় ৪ খাতের শেয়ার
- বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৭ কোম্পানি
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে