ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
নতুন নির্দেশে কড়া বার্তা পেল ভারতীয় বাহিনী

ডুয়া ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর টানা ১৯ দিন ধরে চলা সংঘর্ষ, উত্তেজনা ও সহিংসতার মাঝে অবশেষে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে গত শনিবার। যদিও সাময়িক থেমেছে গোলাগুলি, দুই চিরবৈরী দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হুমকি-ধমকি এখনও অব্যাহত।
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পাকিস্তান সীমান্তে যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাবে আরও শক্ত প্রতিক্রিয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মোদি সেনাবাহিনীকে স্পষ্টভাবে বলেছেন, “ওদিক থেকে গুলি এলে, এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে।”
ভারতের সরকারি সূত্রগুলো এই নির্দেশনাকে ‘নীতিগত পরিবর্তন’ হিসেবে দেখছে, বিশেষ করে ভারতের একটি বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে। এর মধ্যেই ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কূটনৈতিক অবস্থানে দৃঢ়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। পুলওয়ামার পর এটিই ছিল সবচেয়ে বড় হামলা। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দোষারোপ করে এবং এর জবাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে দেয়। জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিত করে ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য এবং আকাশপথ বন্ধ ঘোষণা করে।
চলমান উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে। টানা ৪৮ ঘণ্টার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর গত শনিবার সন্ধ্যায় দুই দেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও নিশ্চিত করেন যে, দুই দেশ একটি নিরপেক্ষ স্থানে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর, ভারত এখনো ‘অপারেশন সিন্দুর’ বন্ধ করেনি। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ হবে এখন থেকে আরও দৃঢ় ও দৃষ্টান্তমূলক।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও পরিষ্কার: কোনও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা নয়। আলোচনা হতে পারে শুধুমাত্র পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ফেরত দেওয়ার বিষয়ে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে এখন শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর ডিজিএমও পর্যায়ে যোগাযোগ চলবে বলে জানানো হয়েছে। ভারতের ভাষায়, বর্তমানে আর কোনও রাজনৈতিক আলোচনার অবকাশ নেই।
এই প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনার মাত্রা কিছুটা কমলেও সংকট পুরোপুরি কেটে যায়নি বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- শোক সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলক
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ আগ্রহের তালিকায় ৪ খাতের শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৭ কোম্পানি
- ফেসবুক গ্রুপের এডমিন-সিআরদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ডাকসু নির্বাচন কমিশন