ঢাকা, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২০২৫ জুলাই ০৯ ১২:৫৪:১৯

মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে বড় পরিসরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অস্ত্রের মজুত বৃদ্ধি করছে দেশটি।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বিমানঘাঁটি, গোলাবারুদের গুদাম এবং নানা ধরনের সামরিক স্থাপনা। এসব প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ব্যয় ছাড়িয়েছে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার এবং তা ভবিষ্যতে ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ জানিয়েছে, সরকারি নথির বরাতে জানা গেছে—এই প্রকল্পগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ আগ্রহী ঠিকাদারদের আহ্বান জানিয়েছে। যদিও কাজগুলো জুনে শুরু হওয়ার কথা ছিল তবে ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে তা পিছিয়ে যায়।

প্রকল্পগুলোর আওতায় পুরোনো বিমানঘাঁটিগুলো সংস্কারের পাশাপাশি নতুন হ্যাঙ্গার, জ্বালানি সরবরাহ কেন্দ্র, মেরামতের ঘর ও গোলাবারুদের গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। একেকটি প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে কয়েক কোটি ডলার। যেমন—একটি হ্যাঙ্গার নির্মাণে ১০ কোটি ডলার, হেলিকপ্টার ঘাঁটি নির্মাণে প্রায় ২৫ কোটি ডলার এবং গোলাবারুদের গুদাম তৈরিতে ১০ কোটি ডলার পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে।

এ ছাড়া সাত বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পে নির্মাণ, মেরামত ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় হতে পারে ৯০ কোটি ডলার পর্যন্ত। যদিও এসব প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি তবে জানা গেছে—সেগুলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এই প্রকল্পগুলোর অর্থায়নের বড় অংশ আসছে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সামরিক সহায়তা তহবিল থেকে। এ তহবিলের আওতায় ইসরায়েল প্রতি বছর প্রায় ৩৮০ কোটি ডলার পেয়ে থাকে যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যয় করা হয়। সাধারণত এই অর্থ মার্কিন সামরিক ঠিকাদারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েল আরও প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার সামরিক সহায়তা পায়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের একটি বিমানঘাঁটিতে ‘৯১১ নম্বর স্থাপনা’ নামে একটি গোপন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছিল।

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সম্প্রতি ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এসব প্রকল্প অনেক আগেই পরিকল্পিত ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির এক কর্মকর্তা।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

বিশ্ববাজারে আবারও বাড়লো সোনার দাম

বিশ্ববাজারে আবারও বাড়লো সোনার দাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সোনার দাম। মার্কিন ডলারের দরপতন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে—এমন... বিস্তারিত