ঢাকা, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
রাগে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন? জেনে নিন কীভাবে সামলাবেন

জাহিদ হাসানের জনপ্রিয় সংলাপ “আশ্চর্য! মেয়েটা রেগে গেল কেন?” যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি। হঠাৎ করে কারও রেগে যাওয়ার ঘটনা যেমন আচমকা ঘটে, তেমনি এই রাগের অভিঘাত পড়ে পারিপার্শ্বিকতা ও মানুষের সম্পর্কের ওপর। রাগ যদি সংযমহীনভাবে প্রকাশ পায়, তা মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিতে পারে বহুদিনের গড়া বিশ্বাস ও সম্পর্ক।
তবে রাগ প্রকাশ মানেই সেটা খারাপ নয়—প্রশ্ন হলো কীভাবে সেটা প্রকাশ করা হচ্ছে। রাগের সঙ্গে আসে আবেগ, চাপ ও বিপর্যয়ের সম্ভাবনা। তাই একে নিয়ন্ত্রণ করা শেখা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। নিচে এমন কিছু উপায় তুলে ধরা হলো যা আপনার রাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করতে পারে।
রাগের মুহূর্তে চুপ থাকুন। কথার আগে চিন্তা করুন—হঠাৎ রেগে গিয়ে বলা কোনো কথাই ভেবে বলা হয় না। এর ফলে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। শান্ত হওয়ার সময় নিয়ে তারপর প্রয়োজনীয় কথা বলুন। ‘স্টপ’ চিহ্ন কল্পনায় এনে থামিয়ে দিন নিজেকে।
‘টাইমআউট’ শুধু বাচ্চাদের জন্য নয়। আপনি যখন চাপের মধ্যে থাকেন বা রেগে যান, তখন নিজের থেকে দূরে গিয়ে কিছু সময় একা থাকুন। এটা পরিস্থিতি ঠান্ডা মাথায় ভাবতে সাহায্য করে।
শারীরিক ব্যায়াম রাগ কমাতে দারুণ কার্যকর। একটু হাঁটুন বা দৌড়ান, ঘাড় ও কাঁধ ঘোরান, অথবা সাইকেল চালান। এর সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ কৌশল প্রয়োগ করলে শরীর ও মন দুটোই শান্ত হবে। চোখ বন্ধ করে শান্ত পরিবেশ কল্পনা করুন, নিজের ভেতরের কথা বলুন: “শান্ত থাকো”, “সব ঠিক হয়ে যাবে”।
রাগ হওয়ার বদলে সমাধান খুঁজুন। আপনার সন্তানের অগোছালো ঘর দেখে রাগ হচ্ছে? দরজাটা বন্ধ করুন কিছু সময়ের জন্য। রাতে খাবারের সময় কেউ নিয়ম মানছে না? সময় ঠিক করে দিন। সব সময় সবকিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না—এটা মানতেই হবে।
ক্ষমা করে দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। রাগ পুষে রাখার চেয়ে ক্ষমা করে দেওয়া আত্মার প্রশান্তি আনে। মুখে না বললেও মনে মনে অন্তত ক্ষমা করার চেষ্টা করুন।
যদি বুঝতে পারেন যে রাগ আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে, তখন বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিতে দ্বিধা করবেন না। আগে থেকেই নিজেকে প্রশিক্ষিত করুন কীভাবে এমন পরিস্থিতি সামলাবেন।
মনোযোগ অন্যদিকে ফেরান। যার ওপর রাগ করছেন, তাকে উদ্দেশ করে চিঠি লিখে ফেলুন—তবে সেটা পাঠাবেন না, মুছে ফেলুন। ভালো বন্ধুর সঙ্গে মনের কথা বলুন, ডায়েরিতে লিখুন, গান শুনুন, বা আঁকুন, গাইুন—রাগকে রূপান্তর করুন সৃষ্টিশীলতায়।
রাগকে দমন নয়, বরং সচেতনভাবে পরিচালনা করা শিখুন। এতে আপনি যেমন মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন, তেমনি আপনার সম্পর্কগুলোও নিরাপদ থাকবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- শেয়ারবাজারের পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে ঢাবির ৫৪তম সমাবর্তন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১২ কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে পাঁচ কোম্পানি
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- ভারতের ২৫০ সেনা নিহত
- ‘শেয়ারবাজারের মাঠ খেলার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত’
- ১৭ কোম্পানি শেয়ারে সফল বিনিয়োগ, ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- ১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!