ঢাকা, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুলাই ০২ ২৩:২২:৫১
সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!

জাপানে ভয়াবহ ‘মেগাক্যুয়েক’ বা বিশাল ভূমিকম্পের সম্ভাবনা নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। দেশটির সরকারের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প ও তাৎক্ষণিক সুনামির কারণে প্রায় ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন এবং ক্ষতির পরিমাণ দুই ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী ‘নানকাই ট্রাফ’ এলাকায় একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। এর সম্ভাবনা প্রায় ৭৫ থেকে ৮২ শতাংশ।

জাপান সরকার জানিয়েছে, ২০১৪ সালে দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তা সম্ভাব্য প্রাণহানিকে মাত্র ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম হবে। যদিও পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো।

এই পরিস্থিতিতে জাপান সরকার নতুন একটি হালনাগাদ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ নির্মাণ, জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত মহড়া আয়োজনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এক সরকারি বৈঠকে বলেন, "প্রাণহানি কমাতে হলে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, বেসরকারি সংস্থা ও সাধারণ জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।"

নানকাই ট্রাফ হলো ৫০০ মাইল দীর্ঘ সমুদ্রতলীয় একটি ফাটল। যেখানে একটি টেকটোনিক প্লেট আরেকটির নিচ দিয়ে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। গত ১,৪০০ বছরে এই অঞ্চলে প্রায় প্রতি ১০০ থেকে ২০০ বছর অন্তর বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটে এসেছে। এর মধ্যে সর্বশেষ ‘মেগাক্যুয়েক’ ছিল ১৯৪৬ সালে।

২০২৩ সালের আগস্টে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) প্রথমবারের মতো এই এলাকার জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছিল। এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যাহার করা হয়। তবে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থার প্রধান রিওইচি নোমুরা বলেন, "বর্তমান বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি দিয়ে ভূমিকম্পের নির্দিষ্ট সময়, স্থান বা মাত্রা পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। তাই জনসাধারণকে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।"

সূত্র : ডেইলি মেইল

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত