ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২
১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মোট ৫৮টি বীমা কোম্পানির মধ্যে ১৩টি বীমা কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারের বড় অংশীদার হয়ে থাকেন এবং তাদের বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রতি তাদের বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে। এই পতন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।
তবে আশার কথা হলো, দেড় ডজনের বেশি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে এখনও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উল্লেখযোগ্য মালিকানা রয়েছে। যার মধ্যে অনেক কোম্পানিতে ৪০ শতাংশেরও বেশি শেয়ার তাদের হাতে। এটি সামগ্রিকভাবে বীমা খাতের প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি বৃহৎ অংশের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থাকার ইঙ্গিত দেয়।
যে ১৩টি বীমা কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ১০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে, সেগুলো হলো- এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, সিকদার ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এশিয়া ইন্স্যুরেন্স
এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫৮ টি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৬৩ শতাংশে। বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪২.৬৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫০.৭০ শতাংশ শেয়ার।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫৬ শতাংশে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৬০.১৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫.৩১ শতাংশ।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৬টি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৭৪ শতাংশে। বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩১.৫৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬১.৭২ শতাংশ।
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে কমে ৪.৫৭ শতাংশে। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫২.১১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৩.৩১ শতাংশ।
ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স
ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ১০ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৪৩টি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৯৪ শতাংশে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৩৮.২৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬০.৮০ শতাংশ।
ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স
ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি ৬ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৬৬ টি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৬১ শতাংশে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৪১.৩০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৪.৯ শতাংশ।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ
ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ১১ লক্ষ ৬৫ হাজার ২১৫ টি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৩২ শতাংশে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৪৫.৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৬.০৭ শতাংশ।
জনতা ইন্স্যুরেন্স
জনতা ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৬৬ লক্ষ ১৭ হাজার ৯১২ টি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৮৮ শতাংশে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৩৯.৮৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫২.২৫ শতাংশ।
কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স
কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৪৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ১১৩ টি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫৯ শতাংশে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৩২.৭৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬২.৬৭ শতাংশ।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৫১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৭ টি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৭২ শতাংশে।কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৬৪.২৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩১.০৪ শতাংশ।
সিকদার ইন্স্যুরেন্স
সিকদার ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ২.২১ শতাংশে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৫০.৪০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৭.৩৯ শতাংশ।
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৫৩ শতাংশে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৫৪.৮৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৯.৬২ শতাংশ।
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি। সর্বশেষ ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ৮.১৪ শতাংশে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৫৩.৩৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৮.৪৮ শতাংশ।
এই চিত্রটি বীমা খাতের বিকাশমান ও গতিশীল রূপকে তুলে ধরে। যেখানে কিছু কোম্পানির শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে, আবার কিছুদিন পর বৃদ্ধিও পায়। এটি বীম কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ বিনিয়োগের সুযোগকে ইঙ্গিত করে। বাজারের এই উত্থান-পতন আসলে বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব