ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
মিউচুয়াল ফান্ডের দুর্দিন: ডিভিডেন্ডহীন ১৬টি, ২টির যৎকিঞ্চিত

শেয়ারবাজারে মন্দা পরিস্থিতি এবং আবাস্তব ক্ষতির (unrealised losses) বিপরীতে উচ্চহারে প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতার কারণে বেশিরভাগ ক্লোজড-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড জুন ২০২৫-এ শেষ হওয়া অর্থবছরে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা আরও একটি কঠিন সময় পার করছেন।
ডিএসই'র তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৮টি তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৬টিই লোকসানের কারণে কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।
শুধুমাত্র দুটি মিউচুয়াল ফান্ড- ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড এবং গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম টু, যথাক্রমে ৩.৩ শতাংশ এবং ৭.৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
ফান্ড ম্যানেজাররা মিউচুয়াল ফান্ডের এই দুর্বল পারফরম্যান্সের জন্য বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছেন। প্রধান কারণগুলো হলো- ২০২৫ অর্থবছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ৯.৪০ শতাংশ বা ৫০২ পয়েন্ট কমে যাওয়ায় মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর পোর্টফোলিওতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে ভালো পারফর্ম করা অনেক শেয়ারের দাম কমে গেছে। অবাস্তব ক্ষতির বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হওয়ায় ডিভিডেন্ড দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত তহবিল তাদের হাতে ছিল না। গত দুই বছরে নতুন কোনো আইপিও (Initial Public Offering) না আসায় মিউচুয়াল ফান্ডগুলো আইপিও শেয়ার থেকে সুরক্ষিত লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
ফান্ড ম্যানেজাররা জানান, মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর আয় মূলত শেয়ার লেনদেন থেকে আসা মূলধন লাভের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু গত অর্থবছরের বেশিরভাগ সময় বাজার মন্দা থাকায় লাভের সুযোগ ছিল না বললেই চলে।
বেশিরভাগ ফান্ডের নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ফেস ভ্যালুর নিচে নেমে আসায় তারা ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এটি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর আস্থা সংকট তৈরি করেছে।
আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাদের আগের বছরের প্রভিশনিংয়ের কারণে ২০২৫ অর্থবছরে লোকসান কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে। যেমন: আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড আগের বছরের ১৬৬ মিলিয়ন টাকা লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩৫ মিলিয়ন টাকা মুনাফা অর্জন করেছে।
তবে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শূন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণার এই ধারা চলতে থাকলে বিনিয়োগকারীরা মিউচুয়াল ফান্ড থেকে আরও দূরে সরে যাবেন। বর্তমানে ৩৭টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র তিনটি ফেস ভ্যালুর উপরে লেনদেন হচ্ছে। যেগুলো হলো-ফার্স্ট প্রাইম, গ্রামীণ-টু এবং রিলায়েন্স-ওয়ান।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস