ঢাকা, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

'কানাডা বিক্রয়ের জন্য নয়'

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ মে ২৭ ১৭:২০:২২
'কানাডা বিক্রয়ের জন্য নয়'

রাজা তৃতীয় চার্লস মঙ্গলবার কানাডার পার্লামেন্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভাষণে তিনি কানাডার সার্বভৌমত্বের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবেন এবং স্পষ্টভাবে জানাবেন, “কানাডা বিক্রয়ের জন্য নয়।” এই ভাষণটি এমন এক সময় আসছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু মন্তব্য দেশটির সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বলে অনেকের ধারণা।

এটি রাজা চার্লসের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ রাজা হওয়ার পর এই প্রথমবার তিনি রানী ক্যামিলাকে নিয়ে কানাডার রাজধানী অটোয়া সফর করছেন। সেখানে তিনি নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, যিনি সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ট্রাম্পবিরোধী জনমতের ঢেউয়ে বিজয়ী হন।

প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, রাজা ও কানাডার সম্পর্ক ‘ঐতিহাসিক বন্ধন’ এবং তা দেশের সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের পরিচয় ও শক্তির প্রতিফলন। তিনি আরও বলেন, ‘সংকট আমাদের আরও শক্তিশালী করে।’

প্রায় ৫০ বছরে এটিই প্রথম কোনো রাজার ‘সিংহাসন থেকে দেওয়া ভাষণ’। এটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নয়, বরং কানাডার প্রতি এক ঐক্যবদ্ধ ও প্রতীকী সমর্থনের বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভাষণটি ইংরেজি ও ফরাসি—দুই ভাষাতেই উপস্থাপন করা হবে, যাতে করে তা দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছায়।

সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী ভাষণটি রচিত হবে, তবে এতে একটি স্পষ্ট কূটনৈতিক বার্তা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বা প্রলোভনের কাছে মাথা না নোয়ানোর অঙ্গীকার। বিশেষ করে ট্রাম্পের মন্তব্যে যে কানাডা যেন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাষ্ট্র হয়ে উঠছে, তার সরাসরি বিরোধিতা করতেই রাজা এই বার্তা দিতে পারেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

এদিকে রিডো হলে জড়ো হওয়া কানাডিয়ানরা রাজাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এখনই এমন এক সময়, যখন রাজার সরব উপস্থিতি এবং কানাডার পক্ষে অবস্থান নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিসিসাগার বাসিন্দা তেরেসা ম্যাকনাইট বলেন, ‘কানাডা এখন হুমকি অনুভব করছে, তার এই সফর আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’ তাঁর সঙ্গে থাকা বোন ডায়ান সেন্ট লুইস যোগ করেন, ‘সার্বভৌমত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজা এই স্বাধীনতার প্রতীক।’

রাজা চার্লসের এই ভাষণ শুধু এক জাতীয় অনুশাসনই নয়, বরং কানাডার সার্বভৌম অস্তিত্ব ও গর্বের প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে থাকবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

জবি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর

জবি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপনের সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের... বিস্তারিত