ঢাকা, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২
ঋণ থাকলে কোরবানি দেয়ার বিধান কি?
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: কোরবানি ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার গুরুত্ব কোরআন ও হাদিসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। ‘কোরবানি’ শব্দটি আরবি, যার অর্থ সান্নিধ্য লাভ করা বা আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়া। হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি কোরবানি করল না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।” (তিরমিজি)
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “কোরবানির দিনে কোরবানির চেয়ে উত্তম কোনো আমল নেই। কিয়ামতের দিন কোরবানিকৃত পশু শিং, খুর ও পশমসহ পেশ করা হবে। এর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়। তাই তোমরা আনন্দের সাথে কোরবানি করো।”
তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে— ঋণ থাকলে কি কোরবানি দেওয়া যাবে?
এই বিষয়ে ফিকহবিদগণ স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন: কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য ‘নেসাব’ পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি। যাকাতের মতো এক বছর ধরে মালিক থাকার শর্ত এখানে প্রযোজ্য নয়। বরং জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত সময়ের যেকোনো মুহূর্তে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে।
যদি কারো ওপর ঋণ থাকে এবং তা পরিশোধের পর প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ নেসাব পরিমাণ না থাকে, তাহলে কোরবানি ওয়াজিব হবে না। তবে ঋণ পরিশোধের পরও যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে, তাহলে কোরবানি করতে হবে।
নেসাবের মানদণ্ড অনুযায়ী, সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ, সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর সমপরিমাণ অর্থ বা সম্পদ (যেমন অলঙ্কার, নগদ অর্থ, বাড়তি জমি বা আসবাবপত্র) থাকলে তা কোরবানির নেসাবে গণ্য হবে।
ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, কেবল ঋণ থাকা মানেই কোরবানি থেকে বিরত থাকা যাবে না। যদি ঋণ দীর্ঘমেয়াদি হয় এবং পরিশোধের সময় এখনও বাকি থাকে, আর ব্যক্তি কোরবানির সামর্থ্য রাখেন, তবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় কেউ ঋণের মধ্যে থেকেও স্বচ্ছল জীবন যাপন করেন—বাড়ি, গাড়ি, ব্যবসা রয়েছে। তিনি যদি কেবল ঋণের অজুহাতে কোরবানি থেকে বিরত থাকেন, তাহলে তা শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়।
শায়খ আহমাদুল্লাহ সকল মুসলমানকে শরিয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী কোরবানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান, যেন দীন ও দুনিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: এক কোম্পানির শেয়ার কিনলেন উদ্যোক্তারা
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- বড় আন্দোলনে নামছে ৩ 'দল'
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃ'ত্যু ৬
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি