ঢাকা, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ৪০ শতাংশই বেকার

ডুয়া নিউজ- শিক্ষা
২০২৫ আগস্ট ১৬ ১৯:৫৯:২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ৪০ শতাংশই বেকার

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর প্রায় দশ লাখ শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে বের হয়। কিন্তু এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো না কোনো পেশায় নিয়োজিত হয়, ২০ শতাংশ স্ব-উদ্ভাবিত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, এবং অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী বেকার থাকছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত বাংলাদেশে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক সেমিনারে এই তথ্য উল্লেখ করেন তিনি।

ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ল্যাব, ডেমোনস্ট্রেটর, শিক্ষক ও অধ্যক্ষ থাকা সত্ত্বেও ল্যাব প্র্যাকটিক্যাল কার্যকরভাবে হচ্ছে না। এটি শুধু নৈতিক অবক্ষয়ের লক্ষণ এবং এর সমাধান দ্রুত করতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিদেশে অদক্ষ শ্রমিক প্রেরণ বন্ধ করে তাদের দক্ষ শ্রমিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সেরা শিক্ষক সম্মাননা প্রকৃত সেরা শিক্ষকের হাতে দেওয়ার সুপারিশও করেন।

তিনি জানান, আধুনিক শিক্ষা কমিশন গঠন করা এখন সময়ের দাবি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিগত ৫২ বছরে কোনো গুণগত উন্নতি হয়নি এবং বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়তেও আমরা ব্যর্থ।

প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশের অবস্থাও এক সময় এদেশের মতোই ছিল, কিন্তু আজ তাদের মাথাপিছু আয় বহুগুণে বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার বড় ভূমিকা রয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে সিলেবাস পরিবর্তনের কাজও হাতে নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে একই অনুষ্ঠানে জানান হয়, দেশে ডিগ্রি পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ১১ শতাংশ, যার প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৪.৫ শতাংশ বেকার।

ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, গুণগত শিক্ষার অভাবই শিক্ষার সবচেয়ে বড় সমস্যা। প্রতি বছর এসএসসিতে প্রায় ২.৫ লাখ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়, তবে বাস্তব শিক্ষার উন্নতি ঘটছে না। তিনি প্রশ্ন তুলেন, যারা জিপিএ-৫ পাননি, তারা কোথায় যাচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত