ঢাকা, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২
বাড়ি কিনলেই নাগরিকত্ব দিচ্ছে ৫ দেশ

আটলান্টিক মহাসগরে অবস্থিত ক্যারিবীয় অঞ্চলের পাঁচটি দেশ অ্যান্টিগা ও বারবুডা, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং সেন্ট লুসিয়ায় বাড়ি কিনলেই নাগরিকত্বের সুযোগ দিচ্ছে। মাত্র ২ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগেই পাওয়া যাচ্ছে এসব দেশের ‘ভারী পাসপোর্ট’। এই নাগরিকত্ব দিয়ে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের শেনজেন অঞ্চলের মতো প্রায় ১৫০টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা সম্ভব।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়ি কেনার পাশাপাশি এসব দেশে বিনিয়োগকারীদের জন্য কর সুবিধাও রয়েছে।অনেক ক্ষেত্রে সম্পদ আহরণ কর, উত্তরাধিকার কর, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আয়কর পর্যন্ত নেই। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, নতুন নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও আগের দেশের নাগরিকত্ব রাখতে কোনো বাধা নেই।
অ্যান্টিগার একজন রিয়েল এস্টেট এজেন্ট নাদিয়া ডাইসন জানান, বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ ক্রেতা শুধুমাত্র নাগরিকত্ব পাওয়ার লক্ষ্যেই বাড়ি কিনছেন, যাদের বেশিরভাগই মার্কিন নাগরিক। আগে যেখানে ক্রেতারা কেবল জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় বাড়ি কিনতেন, এখন তারা নাগরিকত্ব-সহ বাড়ির খোঁজ করছেন।
তবে এই নাগরিকত্ব বিক্রির প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। ২০১২ সালে অ্যান্টিগা সরকার এই কর্মসূচি চালু করলে অনেকেই জাতীয়তাবাদী মনোভাব থেকে এর বিরোধিতা করেন। অঞ্চলটির কয়েকজন নেতাও সমালোচনায় শামিল হন। সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডিনসের প্রধানমন্ত্রী রাল্ফ গনসালভেস বলেছেন, ‘নাগরিকত্ব কোনো বিক্রয়ের পণ্য হওয়া উচিত নয়।’
তবে এই নাগরিকত্ব নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পাসপোর্টধারীদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার বাতিলের হুমকি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও এই প্রকল্পের কারণে কর ফাঁকি ও আর্থিক অপরাধের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছে।
তবে সমালোচনার জবাবে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি দেশ নাগরিকত্ব কর্মসূচিতে কঠোর নজরদারির আশ্বাস দিয়েছে। তারা যৌথভাবে একটি আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন, আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার বাধ্যতামূলক করা এবং এক দেশে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে অন্য দেশে পুনরায় আবেদন করার সুযোগ বন্ধসহ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ নীতি গ্রহণ করেছে।
এই কর্মসূচি বর্তমানে দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হয়ে উঠেছে। এসব দেশের মোট জিডিপির ১০ থেকে ৩০ শতাংশই এখন এই নাগরিকত্ব বিক্রির উপর নির্ভরশীল। সেন্ট কিটসের সাংবাদিক আন্দ্রে হুই বলেন, “আমাদের দেশে এই প্রোগ্রাম সাধারণ মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কারণ মানুষ দেখছে, এই অর্থ দিয়ে সরকার কীভাবে উন্নয়ন করছে।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান
- শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মাথাব্যথার ১১ শেয়ার