ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২

হাদি হ'ত্যাচেষ্টা: সরকারের ‘চরম ব্যর্থতা’ নিয়ে ৯২ বিশিষ্টজনের বিবৃতি

২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১৮:৫১:১৪

হাদি হ'ত্যাচেষ্টা: সরকারের ‘চরম ব্যর্থতা’ নিয়ে ৯২ বিশিষ্টজনের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ৯৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় সরকারের ‘চরম ব্যর্থতা’ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৯২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকিব, কবি ও নির্মাতা লতিফুল ইসলাম শিবলী, নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ, এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ আবদুল কাদেরসহ দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী ও সংস্কৃতিকর্মীরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রকাশ্য দিবালোকে হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ফয়সাল করিম মাসুদ। ঘটনার চার দিন পার হলেও প্রশাসন প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বরং লোক-দেখানো আইনি তৎপরতা ও কূটকৌশলের মাধ্যমে অপরাধীদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

বিশিষ্টজনরা বলেন, ‘সরকারের গোয়েন্দা ব্যর্থতা কতটা প্রকট, তা হাদির গ্রামের বাড়িতে চুরির ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। একজন সম্ভাবনাময় তরুণ নেতার ওপর হামলার পরও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা দেশপ্রেমিক জনগণের সঙ্গে মশকরা করার শামিল।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশ ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থা সংস্কারে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসনে এখনো আওয়ামী আমলা ও পুলিশ বহাল তবিয়তে থেকে ষড়যন্ত্র করছে। ভারতীয় মদদপুষ্ট ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী জুলাই বিপ্লবীদের নাম ধরে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় হাদির পরিবার ও সহযোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খাদিজা মিতু ও সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন আকতার এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান খান রাজীব।

এ ছাড়া রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা ও মাহাদী হাসান, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আহসানুল মামুন, বিইউবিটির সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শওকত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শেহীন আমীন ভূঁইয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ খান চন্দন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক মীর মো. আমিনুজ্জামান।

তুরস্কের সাকারিয়া ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপলাইড সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, কারাবুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. আ স ম মাহমুদুল হাসান, বিইউপির সহকারী অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান তালুকদার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক অরণি সেমন্তি খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক খলীলুল্লাহ মুহাম্মাদ বায়েজীদ এবং ইউল্যাবের প্রভাষক অলিউর রহমান সানও।

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রভাষক এ এস এম কামরুল ইসলাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সুমাইয়া তামান্না, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক গোলাম রব্বানী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মশিউর রহমান এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মো. আল আমিন রাকিব।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান ইলিনয় ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তর টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. ফিরোজ হাসনাত, আলাবামার গবেষক ও প্রকৌশলী ড. তানজিলুর রহমান, লেখক ও শিক্ষক ড. মো. আদনান আরিফ সালিম, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মোহা. সাদিকুল ইসলাম, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ইসরাত জাহান রয়েছেন।

আইআইইউসির আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ মাইমুল আহসান খান, শিক্ষক মোহা. ফাহিম ফয়সাল, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহমুদুল হাসান, ইটিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ ইব্রাহিম রুপম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর মাহমুদুল হাসান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক বোরহান উদ্দীন নোমানও রয়েছেন।

এ ছাড়া নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ, কবি ও কাজী নজরুল ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়াহ আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ধ্রুব হাসান ও তারেক আহমেদ, ভূতত্ত্ববিদ ও পেট্রোবাংলার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম কামরুজ্জামান, মূকাভিনয় শিল্পী মীর লোকমান রয়েছেন।

রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গন থেকে উপস্থিত ছিলেন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, সদস্য সচিব আরেফিন মোহাম্মদ, প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

সাহিত্য ও সাংবাদিকতা অঙ্গনের মধ্যে ছিলেন কবি ও সমালোচক ইমরুল হাসান ও মনিরুল মিরাজ, কবি কাজী ওয়ালী উল্লাহ, কবি ও অ্যাক্টিভিস্ট রাহাত শান্তনু, কবি মীর হাবিব আল মানজুর ও সোয়েব মাহমুদ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাফায়াত আহমেদ, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাদিক মাহবুব ইসলাম, চিকিৎসক ও রাজনীতিবিদ মাহমুদা মিতু।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট মুহাম্মাদ সজল, সাবেক ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ আবদুল কাদের, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল আরিফুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ।

আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার পোস্ট-ডক্টোরাল গবেষক ড. শাকিব মুসতাভী, আঙ্কারা ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, লেখক মোহাম্মদ ইশরাক ও ইফতেখার জামিল, পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ক্যান্ডিডেট শহিদুল ইসলাম, জাপানের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নাবিল ফারহান ও আরঅ্যান্ডডি ইঞ্জিনিয়ার রাসেল মোহাম্মদ।

এ ছাড়া গবেষক কাওসার আহমেদ ও মো. আবছার, প্রাবন্ধিক ফিরোজ আহমেদ, অনুবাদক ও রাজনীতিক আজহার উদ্দিন খান, এডুকেশন কনসালট্যান্ট হালিমা তুস সাদিয়া, ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটির ডক্টোরাল ক্যান্ডিডেট জুনাইদ আলমামুন, সমকালের স্টাফ রিপোর্টার ইয়াসির আরাফাত, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট রফিকুল হাসান লোদী, জার্মানির কৃষি গবেষক ড. মুহাম্মদ সাহেদুল আলম, লেখক তারিক মাহমুদ আজহারি, ব্যাংকার মো. তৌফিকুর রহমান, ডালহাউজি ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট মোহাম্মাদ অলিউল ইসলাম, কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির ডক্টোরাল ক্যান্ডিডেট তাইয়িব আহমেদ, প্রকৌশলী হোসাইন মোহাম্মদ তালিবুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সচিব নুরুল আলম এবং মানবাধিকার কর্মী ও গবেষক মো. রাকিবুল হাসান রয়েছেন।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত