ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

রাশিয়ার ২১০ বিলিয়ন ইউরোর সম্পদ আটকে দিচ্ছে ইইউ

২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১৫:৫৪:২৮

রাশিয়ার ২১০ বিলিয়ন ইউরোর সম্পদ আটকে দিচ্ছে ইইউ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিপুল অঙ্কের অর্থ ও সম্পদ অনির্দিষ্টকালের জন্য জব্দ করার পথে এগোচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রায় ২১০ বিলিয়ন ইউরো বা ২৪৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ রুশ সম্পদ দীর্ঘমেয়াদে অবরুদ্ধ থাকবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত শুক্রবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ সদস্যদেশগুলোর বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সক্ষমতা দুর্বল করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জব্দ করা অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে ইইউর।

ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, রাশিয়ার সম্পদ স্থায়ীভাবে অচল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। তার ভাষায়, ইউক্রেনকে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত এই ২১০ বিলিয়ন ইউরো ইউরোপের মাটিতেই আটকে থাকবে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি রাশিয়ার জন্য একটি স্পষ্ট ও শক্ত বার্তা যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তার অর্থনৈতিক মূল্যও ক্রমেই বাড়বে।

ইইউ কর্মকর্তারা জানান, জব্দ করা তহবিল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় ব্যয় করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ ও ২০২৭ সালে ইউক্রেনকে বাজেট সহায়তা হিসেবে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হবে। তবে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে রাশিয়া যদি যুদ্ধক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়, তাহলে ইউক্রেন কিস্তিতে সেই অর্থ পরিশোধ করবে।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া এসভিরিদেঙ্কো এই সিদ্ধান্তকে ‘ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার একটি দৃষ্টান্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এতে ক্ষতিপূরণভিত্তিক ঋণ ব্যবস্থার ভিত্তি আরও মজবুত হবে এবং রাশিয়া ইউক্রেনে চালানো ধ্বংসযজ্ঞের পরিণতি উপলব্ধি করতে বাধ্য হবে।

অন্যদিকে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে। এক বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার সম্পদ ‘চুরির নতুন কৌশল’ গ্রহণ করেছে এবং ইউরোক্লিয়ারের বিরুদ্ধে পুনরায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষের মতে, রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে ইইউ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত