ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ, কঠোর হচ্ছে অভিবাসননীতি

২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ০০:০৮:৪৯

ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ, কঠোর হচ্ছে অভিবাসননীতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের অভিবাসন ও আশ্রয়নীতি কঠোর করার বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ব্রাসেলসে ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের পরপরই জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস ইঙ্গিত দিয়েছেন, জার্মানি শিগগিরই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে চলমান সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তুলে নিতে পারে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইইউর কর্মকর্তা ও জোটভুক্ত দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে অবৈধ অভিবাসন রোধে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠকে নেওয়া উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তসমূহ:

ইইউর বাইরে প্রত্যাবাসন কেন্দ্র স্থাপন করা।

প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের নির্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত করা এবং আটকের মেয়াদ বাড়ানো।

নিরাপদ তৃতীয় দেশ ও নিরাপদ উৎস দেশের তালিকা তৈরি।

৪৩ কোটি ইউরোর সংহতি তহবিল গঠন।

২১ হাজার অভিবাসীকে স্থানান্তরের বিশেষ পরিকল্পনা।

সাইপ্রাস, গ্রিস, ইতালি ও স্পেনকে অভিবাসী চাপে থাকা দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে সহায়তা প্রদান।

মঙ্গলবার জার্মানির মাইনৎসে এক অনুষ্ঠানে চ্যান্সেলর ম্যার্ৎস বলেন, ইইউর এই নতুন পরিকল্পনার অর্থ হলো সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এখন ইউরোপের বহিঃসীমান্তে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে। ফলে জার্মানি তার অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার সুযোগ পাবে। তবে ঠিক কবে নাগাদ এটি কার্যকর হবে, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সরকার অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে ৯টি প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল। চলতি বছরের মে মাসে ক্ষমতায় আসা ম্যার্ৎসের সরকারও সেই কড়াকড়ি বজায় রাখে। তবে ইইউর নতুন অভিন্ন আশ্রয়নীতি (সিইএএস) কার্যকর হলে শেনজেন জোনে আবারও অবাধ চলাচলের স্বাধীনতা ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী বছরের (২০২৬) জুন থেকে নতুন এই নীতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত