ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ

২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৫:৩২:২৯

আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নতুন একটি সেফ হাউসের তথ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেলের সামনে তিনি জবানবন্দি দেন। মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ জন আসামি রয়েছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই সারা দেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলাকালে রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই দিন চট্টগ্রামে ওয়াসিমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছয়জন শিক্ষার্থী নিহত হন। পরদিন ১৭ জুলাই গায়েবানা জানাজার আয়োজন করতে গেলে গোয়েন্দা সংস্থার বাধার মুখে পড়তে হয়। সেদিন রাতেই তাদের বাসা থেকে তুলে পদ্মায় নেওয়া হয় এবং বিভিন্নভাবে আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়। তিনি দাবি করেন, মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রত্যাখ্যান করার পর তাদের সামনে দিয়েই তিনজন মন্ত্রী স্থান ত্যাগ করেন, কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি।

তিনি আরও জানান, সেদিন রাতে ব্যর্থ হয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের মৎস্য ভবনের সামনে একটি সেফ হাউসে নিয়ে যায়। বাইরে থেকে পরিত্যক্ত মনে হলেও ভেতরে আধুনিক ব্যবস্থাপনা ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষায় যেটি ‘সেফ হাউস’ হিসেবে পরিচিত। সেখানে পুরো রাত জিজ্ঞাসাবাদ ও চাপের মুখে থাকতে হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয় এবং স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরদিন সকালে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বললে জীবন ‘সেটেল’ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়, কিন্তু তারা তাতে সম্মত হননি।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে। বিরতির পর তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেন। দুপুর আড়াইটায় আবারও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়কের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, সঙ্গে প্রসিকিউটর মঈনুল করিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও অন্যান্য সদস্যরা।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত