ঢাকা, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিএসইসির চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবিতে আগারগাও-তে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৮:০২:০৭

বিএসইসির চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবিতে আগারগাও-তে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ের সামনে পুঁজিবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। পুঁজিবাজারে টানা পতন, নীতিগত অসঙ্গতি এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে রোববার (১৬ নভেম্বর) দশটি বিনিয়োগকারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত নতুন জোট মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দ্রুত অপসারণ, নতুন বিধিমালা বাতিল এবং বাজার স্থিতিশীল করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

বিনিয়োগকারীরা জানান, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারে স্থিতিশীলতার আশা থাকলেও পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে গেছে। প্রতিদিন অঙ্গীকারের বদলে বাড়ছে পুঁজির ক্ষয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বাজারের বাস্তবতা বিবেচনা না করে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যার ফলে বাজারে আস্থা সংকট তৈরি হয়েছে।

বিক্ষোভে বক্তারা জানান, মার্জিন ঋণ বিধিমালা ২০২৫ এবং মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫-এর গেজেট বাজারে আরও অস্থিরতা তৈরি করেছে। তারা মনে করেন, এসব বিধিমালা বাস্তবসম্মত না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারমূল্য পুনর্নির্ধারণ না হওয়ায় বহু বিনিয়োগকারী আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানানো হয়।

বিক্ষোভ থেকে দশটি বিনিয়োগকারী সংগঠনকে নিয়ে একটি নতুন সম্মিলিত জোট গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সংগঠনগুলো হলো—বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শেয়ার ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন, আইসিবি ইনভেস্টরস ফোরাম, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ, ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস ফোরাম, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত পরিষদ, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী স্থিতিশীল পরিষদ এবং বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী কল্যাণ পরিষদ।

জোটের পক্ষ থেকে আট দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বিএসইসির চেয়ারম্যানের অপসারণ, মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার গেজেট বাতিল, একীভূত ব্যাংকগুলোর শেয়ারমূল্য দ্রুত নির্ধারণ, পুঁজিবাজার উন্নয়নে ব্যর্থতার দায়ে পুরো কমিশনের পদত্যাগ, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ, শেয়ারবাজার লুটকারীদের গ্রেপ্তার এবং পুঁজিবাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত লেনদেন স্থগিত রাখা।

বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত বিনিয়োগকারীরা জানান, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিনের অস্থিরতা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে ঘোষণা আসে। তাদের দাবি, বাজার স্থিতিশীলতার স্বার্থে এখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।

ডুয়া/নয়ন

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত