ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

হামাসকে লক্ষ্য করে সর্বাত্মক হামলা চলবে: নেতানিয়াহু

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৫ ২২:৪৭:৫৯

হামাসকে লক্ষ্য করে সর্বাত্মক হামলা চলবে: নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে, হামাস যেখানেই থাকুক, ইসরায়েল সেখানেই হামলা চালাবে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। কাতারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে রুবিওর সঙ্গে নেতানিয়াহুর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে রুবিও কাতারে হামলার কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং ইসরায়েলের এমন আচরণে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন বলে জানান। নেতানিয়াহুর পশ্চিম জেরুজালেমের অফিসে দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ একে অপরকে রক্ষা করতে একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি রুবিওর সফরকে 'সন্ত্রাসের মুখে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে' এমন একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে উল্লেখ করেন। নেতানিয়াহু ইসরায়েলের নিন্দাকারীদের 'দ্বিমুখিতা'র সমালোচনা করেন এবং হামাসের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।

রুবিও ইসরায়েলের যুদ্ধনীতিকে সমর্থন করে বলেন, হামাসকে একটি সশস্ত্র সত্তা হিসেবে তার অস্তিত্ব ত্যাগ করতে হবে, কারণ তাদের সশস্ত্র অবস্থান পুরো মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে জর্ডানের আম্মান থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক হামদাহ সালহুত জানান, সংবাদ সম্মেলনে রুবিও বা নেতানিয়াহু কেউই গাজায় হামলা, ইসরায়েলের সামরিক সম্প্রসারণ ও কাতারে হামলার বিষয়ে কোনো নতুন তথ্য প্রকাশ করেননি। রুবিও ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা করতে দ্বিধা প্রকাশ করে বলেন, 'আমরা শুধু ভবিষ্যতের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি, অতীতকে নয়।'

এদিকে, মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কাতারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসন নিয়ে জরুরি আলোচনার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। পাকিস্তান ও কুয়েতের পক্ষ থেকে দুটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধের ভিত্তিতে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ২০০৬ সালে পরিষদ গঠনের পর এটি হবে দশম জরুরি আলোচনা। ইসরায়েল বারবার মানবাধিকার পরিষদের প্রতিবেদন ও প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এ বছর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র পরিষদের বৈঠকেও অংশ নেয়নি।

নেতানিয়াহু এবং রুবিওর এই বৈঠক আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই অধিবেশনে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং বেলজিয়ামসহ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মিত্র দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কাতারের ভূখণ্ডে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো হামলায় আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। একইসাথে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই হামলার সমালোচনা করেছিলেন।

কাতারের প্রতি সমর্থন জানাতে আরব নেতারা যখন এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন তখনই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। কাতারের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে 'দ্বৈত ভূমিকা নেওয়া বন্ধ' এবং ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রবিবার নেতানিয়াহু এবং রুবিও জেরুজালেমের পুরাতন শহরের পবিত্র স্থান পরিদর্শন করেন। এই সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ইসরায়েল মাইক হাকাবি তাদের সাথে ছিলেন। রুবিও একটি নোট লিখেছেন এবং সেটি দেয়ালে সেঁটে দিয়েছেন।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত