ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২
বন্ডে বিনিয়োগকারী নেই, পরিকল্পনা ভেস্তে গেল নাভানা ফার্মার
হাসান মাহমুদ ফারাবী
রিপোর্টার
হাসান মাহমুদ ফারাবী: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস বন্ডের চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগকারী না পাওয়ায়, নির্ধারিত মেয়াদের আগেই বন্ডের অর্থ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । বন্ডের মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য থাকলেও কোম্পানিটি মাত্র ৮ কোটি টাকা তুলতে সক্ষম হয়েছে, যা তাদের উদ্দেশ্য পূরণে যথেষ্ট ছিল না।
গত বছরের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন্ডের সাবস্ক্রিপশন চালু ছিল। কিন্তু সে সময় রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বন্ড বিক্রি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাভানা ফার্মা সাবস্ক্রিপশনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কাছে আবেদন করেছিল। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গঠিত নতুন কমিশন সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।
কোম্পানির সেক্রেটারি লরেন্স শ্যামল মল্লিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সোমবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্ড থেকে সংগৃহীত অর্থ কোম্পানির উদ্দেশ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে বন্ড থেকে সংগৃহীত টাকা দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধের যে পরিকল্পনা ছিল, সেই ঋণ কীভাবে শোধ করা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। এই বছরের মার্চ পর্যন্ত নাভানা ফার্মার স্বল্পমেয়াদী ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৬০ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার স্টক এক্সচেঞ্জে দেওয়া এক প্রতিবেদনে নাভানা ফার্মা জানায়, বন্ডের অর্থ ফেরত দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত বিএসইসি-র অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল।
২০২৩ সালের মার্চে নাভানা ফার্মা ১৫০ কোটি টাকার একটি আংশিক রূপান্তরযোগ্য বন্ড ইস্যু করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছিল। প্রতিটি বন্ডের অভিহিত মূল্য ছিল ১ লাখ টাকা এবং এর মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। এর মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকের ঋণ পুনঃঅর্থায়ন করা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, নাভানা ফার্মা বন্ডের ৬০ শতাংশ বা ৯০ কোটি টাকাকে শেয়ারে রূপান্তর করার কথা ছিল। তৃতীয় বছর থেকে প্রতি বছর ২০ শতাংশ বন্ড শেয়ারে রূপান্তরিত হবে এবং বাকি টাকা পঞ্চম বছরে বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল।
২০২২ সালে বুক-বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে নাভানা ফার্মা শেয়ারবাজারে আসে। সেই অর্থ একটি সাধারণ উৎপাদন ভবন নির্মাণ, এসভিপিও সুবিধার আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ এবং আংশিক ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করার কথা ছিল। এই বছরের জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি আইপিও-র ৯৭ শতাংশেরও বেশি তহবিল ব্যবহার করেছে।
নাভানা ফার্মা বর্তমানে মানব ও পশুচিকিৎসার ওষুধ উৎপাদন করে, যা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়।
নাভানা ফার্মা ২০২৪ সালে ১৪ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭৭ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৫৯ পয়সা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৯ পয়সা।
এএসএম/
শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল: কবে, কখন-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি ফ্রিতে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৯৫ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-টোয়েন্টি: যেভাবে দেখবেন লাইভ (LIVE)
- ডিএসই’র দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-২০: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন খেলাটি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৬৮ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- মার্জিন রুল থেকে মিউচুয়াল ফান্ড—সবখানেই আসছে বড় পরিবর্তন
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩য় টি-টোয়েন্টি: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন (LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণার পর শেয়ার দামে রেকর্ড দৌড়