ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২
শহীদের রক্তে অর্জিত সংস্কারের সুযোগ রক্ষা করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
.jpg)
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্র সংস্কারের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং পতিত স্বৈরাচারী শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "জুলাই আমাদের নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছে—একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পতিত স্বৈরাচার ও তার স্বার্থলোভী গোষ্ঠী এখনও দেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে।"
জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে "বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন" এবং "টানা ১৬ বছরের স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিস্ফোরণ" হিসেবে আখ্যায়িত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "এক বছর আগে এই দিনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পূর্ণতা পায়, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয় প্রিয় স্বদেশ।" এই ঐতিহাসিক অর্জনের জন্য তিনি দেশের আপামর জনসাধারণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
বাণীতে তিনি ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে শাহাদাতবরণকারী সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর ও পেশাজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, "আমি গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করি সব জুলাইযোদ্ধাকে যারা আহত হয়েছেন, চিরতরে পঙ্গু হয়েছেন, হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। জাতি তাদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।"
অধ্যাপক ইউনূস জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য—একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার—বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এবং শহীদদের স্মৃতি রক্ষা ও আহত যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক ও নির্বাচন ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় সব সংস্কারে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।"
তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আসুন সবাই মিলে আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না।"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান