ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ২৩:৪৮:৪৬

ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়রবাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তালিকাভুক্ত ১১ কোম্পানিতে ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির প্রত্যাশায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-জানুয়ারি-মার্চ’২৫) এসব কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বৃদ্ধি পাওয়ায় কোম্পানিগুলোতে ডিভিডেন্ড বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো- ডরিন পাওয়ার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, জিবিবি পাওয়ার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, যমুনা অয়েল কোম্পানি, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি-কেপিসিএল, এমজেএল বাংলাদেশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল কোম্পানি এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।

ডরিন পাওয়ার

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ২৩ পয়সা।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল রিফাইনারি

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ২১ পয়সা।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৭ টাকা ৬২ পয়সা।।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ৮০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

জিবিবি পাওয়ার

সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ৬২ পয়সা।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দেয়নি।

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৮৩ পয়সা।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

যমুনা অয়েল কোম্পানী

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৬ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৬ টাকা ৬০ পয়সা।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

খুলনা পাওয়ার কোম্পানি-কেপিসিএল

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৩-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৬ পয়সা।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪ুমার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৮ টাকা ৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৭ টাকা ২২ পয়সা।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৭০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪ুমার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪০ টাকা ২০ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৪ টাকা ৮৮ পয়সা।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৪০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

এমজেএল বাংলাদেশ

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪ুমার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৬ টাকা ৫৫ পয়সা।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ৫২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪ুমার্চ’২৫) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১৯ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১৩ টাকা ২২ পয়সা।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ৬০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, আগের বছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিগুলো ভালো মুনাফায় থাকতে পারে। ফলে এ বছর তাদের কাছ থেকে বাড়তি ডিভিডেন্ড পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তবে ডিভিডেন্ড বাড়ুক আর না বাড়ুক, কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা।

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত