ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২
ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা তহবিল (ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড বা সিএমএসএফ) এর কার্যকারিতা বাড়াতে এর বোর্ড পুনর্গঠন এবং একটি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো বিনিয়োগকারীদের অর্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তহবিলের কার্যক্রমকে আরও সুশৃঙ্খল করা।
গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গঠিত নতুন কমিশন তহবিলটির কার্যক্রমে কিছু অনিয়ম খুঁজে পায়। তারা মনে করে, এটিকে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে এর আইনি ভিত্তি শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এই প্রস্তাবটি বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসি'র মুখপাত্র আবুল কালাম গণমাধ্যমকে জানান, তারা একটি নতুন আইনের প্রস্তাব করেছেন, যা পূর্ববর্তী সব নিয়ম ও প্রবিধানকে একীভূত করবে। নতুন কমিশনের মতে, পূর্ববর্তী বোর্ডের কিছু কার্যক্রমে অসঙ্গতি দেখা গেছে, যার কারণে বোর্ড পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর আগের নয় সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হয়।
পুরোনো বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাদের পরিচালন ব্যয় ছিল অস্বাভাবিকভাবে বেশি। তারা মাসে প্রায় ১০টি পর্যন্ত সভা করত এবং প্রতিটি সভার জন্য সদস্যরা ৮ হাজার টাকা সম্মানী গ্রহণ করতেন। এই ধরনের কার্যকলাপ নিয়ে নতুন কমিশন প্রশ্ন তুলেছে।
এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বিএসইসি একটি নতুন সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের সুপারিশ করেছে। এই পর্ষদের চেয়ারম্যান হবেন বিএসইসি প্রধান। অন্য সদস্যদের মধ্যে থাকবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব, দুই শেয়ারবাজারের চেয়ারম্যান, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ-এর সভাপতি এবং সিএমএসএফ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যিনি বিএসইসি'র একজন কর্মকর্তা হবেন।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে যে, তহবিলের পরিচালন ব্যয় কমাতে এর জনবলকে যৌক্তিক করতে হবে। সিএমএসএফ-এর প্রধান নির্বাহী ওয়াসি আজম নতুন বোর্ড গঠনের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, "ব্যবস্থাপনার ওপর বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগকারীর অর্থের দায়িত্ব একা চাপানো সম্ভব নয়, তাই নতুন বোর্ড গঠন খুবই জরুরি।"
২০২১ সালের জুনে গঠিত সিএমএসএফ-এর প্রধান কাজ হলো বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য অমীমাংসিত ডিভিডেন্ড নিষ্পত্তি করা। বর্তমানে এই তহবিলে ৮১৩ কোটি টাকা ক্যাশ এবং ১ হাজার ৯২ কোটি টাকার শেয়ার ডিভিডেন্ড জমা রয়েছে।
বিএসইসি আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সিএমএসএফ এই তহবিলের অর্থ সরাসরি শেয়ার কেনা-বেচার জন্য ব্যবহার করতে পারবে না। শুধুমাত্র এর সুদ থেকে যে আয় হবে, তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ব্যবহার করা যাবে। খরচ কমাতে বিএসইসি প্রস্তাব করেছে, সিএমএসএফ তাদের কার্যক্রম বিএসইসি'র আর্থিক সাক্ষরতা উইং বা বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট-এর সঙ্গে সমন্বয় করে চালাবে, যাতে ভাড়া বাবদ খরচ কমে যায়।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান
- ২২৭ কোটি টাকায় টোটালগাজ কিনে নিল ওমেরা পেট্রোলিয়াম
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত