ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২
মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের

আবু তাহের নয়ন
সিনিয়র রিপোর্টার

আবু তাহের নয়ন : রিয়েল এস্টেট ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এফসিএস হোল্ডিংস লিমিটেড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের ২১.৫০% শেয়ার অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। এই অধিগ্রহণের জন্য আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর কাছে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইয়াকিন পলিমারের তিনজন স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার এবং এফসিএস হোল্ডিংস যৌথভাবে এই আবেদনটি করেছে। এর মাধ্যমে ১ কোটি ৫৮ লখ ৫২ হাজার ৯৯৩টি শেয়ার, যা কোম্পানির মোট শেয়ারের ২১.৫০% অংশ, এফসিএস হোল্ডিংসের কাছে হস্তান্তর করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এই শেয়ার হস্তান্তরের বিনিময়ে কোনো ক্যাশ দেওয়া হবে না। এর পরিবর্তে এফসিএস হোল্ডিংস ইয়াকিন পলিমারের বিদ্যমান ঋণ ও দায়-দেনা গ্রহণ করবে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কোম্পানির ঋণসহ সরবরাহকারীদের বকেয়া বিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিএসইসি-এর অনুমোদন পেলে ইয়াকিন পলিমারের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে। নতুন স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারের প্রতিনিধিরা বোর্ডে যুক্ত হবেন, তবে মোহাম্মদ হারুনর রশিদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তার দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
এফসিএস হোল্ডিংস আরও জানিয়েছে, তারা ইয়াকিন পলিমারের কার্যক্রম উন্নত ও আধুনিক করতে একটি বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, মডার্নাইজেশন, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড এক্সপানশন) প্রোগ্রাম হাতে নেবে। কোম্পানিটি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কোম্পানির সব অ-প্রতিপালনজনিত বিষয়গুলো সমাধান করা হবে।
২০১৬ সালে ইয়াকিন পলিমার ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু সরকারের পাটের বস্তার ব্যবহারকে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্তের পর তাদের কার্যক্রম হ্রাস পায়। এরপর কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তারপর থেকে কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রকাশ করেনি। ২০২৩ সাল থেকে এটি "জেড" ক্যাটাগরিতে নেমে আসে।
গত বছরের জুন মাসে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনা থেকে কোম্পানির ৩০.৫২ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করে। কিন্তু কার্যনির্বাহী মূলধনের অভাব এবং ঋণ পুনর্গঠনে ব্যর্থতার কারণে কোম্পানিটি সুচারুভাবে চালতে পারেনি, যার কারণে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষতির মুখে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালেও শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একাধিকবার সময়সীমা বাড়ানো হলেও তা ব্যর্থ হয়, যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই শেয়ারের দামে বড় ধরনের উত্থান দেখা যায়।
সর্বশেষ ৩১ জুলাই ২০২৫ তারিখের হিসাব অনুযায়ী, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে ৩০.১০ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে, ১০.৯৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ৫৮.৯৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার ৬০ পয়সা বা ০.৬০ শতাংশ দাম কমে ১৮ টাকায় ক্লোজিং হয়েছে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- মিরাকেলের বিরুদ্ধে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করার অভিযোগ
- বড় পতনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নতুন ঢেউ