ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৭:২৪:০৪

সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ৯ জনকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পাশাপাশি জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকেও বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিএসইসি’র ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই জরিমানা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। এ সময় কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সভায় শেয়ারবাজারের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিএসইসি জানায়, ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে দেখা যায়, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বেশ কয়েকজন এ অনিয়মে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজির দায়ে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ৯ জনকে প্রত্যেককে ১ কোটি ৩ লাখ টাকা (১.০৩ কোটি টাকা) করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন— চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক টি.আই.এম নুরুল কবির, ভাইস চেয়ারম্যান প্রিন্স মজুমদার, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শাহ জালাল উদ্দিন, পরিচালক চৌধুরী ফজলে ইমাম, ওরাকল সার্ভিস লিমেটেডের মনোনীত পরিচালক হাসান শহিদ সরওয়ার, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, পরিচালক নিলোফার ইমাম, স্বতন্ত্র পরিচালক রোকেয়া ইসলাম এবং স্বতন্ত্র পরিচালক জাহরুল সাঈদ বখত। এছাড়া, জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড-কে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসির কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রেক্ষাপটে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। তবে এখনো কিছু প্রভাবশালী কারসাজিকারী বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে লিপ্ত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনের আওতায় আনা জরুরী।

তবে কমিশনের কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করে বলেছেন, বাজারে যাতে আর কেউ আইন ভঙ্গ করে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মুখে না ফেলে, সেজন্য ভবিষ্যতেও কঠোর মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় শেয়ার লেনদেন পর্যবেক্ষণ, অস্বাভাবিক লেনদেন তদন্ত এবং প্রয়োজন হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএসএম/

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত