ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
নতুন বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ ভারতের, ঋণের জন্য দৌড়ঝাঁপ

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর গত ২২ এপ্রিল থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের উত্তেজনা এখনও পুরোপুরি থামেনি। এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতে সিন্ধু উপত্যকার চন্দ্রভাগা (চেনাব) নদীর ওপর নতুন একটি বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এই প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ১১৯ কোটি রুপির ঋণ সংগ্রহে এখন দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
শুক্রবার (১১ জুলাই) ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫২৬ কোটি রুপি। ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এই বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হলে ৫৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ঋণ সহায়তার জন্য একাধিক ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত সরকার। বিশ্বব্যাংক থেকে সহায়তা পাওয়ার বিষয়েও আগ্রহ দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ভারত-পাকিস্তান ১৯৬০ সালে যে সিন্ধু পানি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল তার মধ্যস্থতাকারী ছিল এই বিশ্বব্যাংকই।
জম্মু–কাশ্মীরের কিসতোয়ার জেলায় চন্দ্রভাগা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বাঁধ প্রকল্পটি শেষ হলে তা পাকিস্তানের দিকে পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পটি কার্যকরভাবে অগ্রসর হয়নি। তবে ২০২৪ সালে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কাজ শেষ হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ৬০৯ মিটার দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ (টানেল) নির্মাণ করা হচ্ছে। বাঁধটির উচ্চতা হবে ১০৯ মিটার। কেন্দ্রীয় সরকার আশা করছে ২০২৭ সালের মধ্যেই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
কিসতোয়ারে এই বাঁধ নির্মিত হলে অঞ্চলটির শিল্প সম্ভাবনা যেমন বাড়বে তেমনি বিদ্যুতের ঘাটতিও অনেকাংশে পূরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পেহেলগামের হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতে ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি কার্যত স্থগিত রেখেছে। এই চুক্তির অধীন ছয়টি নদীর পানি দুই দেশের মধ্যে ভাগাভাগির নিয়ম রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের নতুন বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা ‘পানি যুদ্ধ’ কৌশলেরই অংশ।
চুক্তি অনুযায়ী, পূর্ব দিকের তিন নদী—বিপাশা (বিয়াস), ইরাবতী (রবি) ও শতদ্রুর (সতলেজ)—পানির ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ভারতের। অন্যদিকে পশ্চিম দিকের তিনটি নদী—সিন্ধু, ঝিলম (বিতস্তা) ও চন্দ্রভাগা (চেনাব)—এর পানি মূলত ব্যবহারের অধিকার পাকিস্তানের (৮০ শতাংশ)। তবে ভারতও ২০ শতাংশ ব্যবহারের অধিকার রাখে।
তবে ভারত চুক্তির সীমা না লঙ্ঘন করেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চন্দ্রভাগায় বাঁধ নির্মাণ করছে বলে দাবি করেছে। এখন দেখার বিষয় বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মহল ভারতের এই প্রকল্পে কী ধরনের অবস্থান নেয় এবং পাকিস্তান কী প্রতিক্রিয়া জানায়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ভয়াবহ বিপদ, গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- শোক সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলক
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ১৫ দিনে ১৭ প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- সর্বোচ্চ আগ্রহের তালিকায় ৪ খাতের শেয়ার
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে