ঢাকা, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিপাকে বেলজিয়ামের রাজকন্যা

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যে চলমান আইনি বিরোধে বিপাকে বেলজিয়ামের রাজকন্যা এলিজাবেথ। এই তালিকায় আরও আছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির কন্যা ক্লিও কার্নি।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় গত ২৩ মে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে। মামলায় প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, “এ সিদ্ধান্ত মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করে এবং এতে তাদের ৭,০০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ওপর ‘তাৎক্ষণিক ও ধ্বংসাত্মক প্রভাব’ পড়বে।”
পরে এক মার্কিন বিচারক সেই সিদ্ধান্তে অস্থায়ী স্থগিতাদেশ জারি করে ‘নিষেধাজ্ঞা আদেশ’ দেন, যাতে শিক্ষার্থীদের ওপর তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব না পড়ে।
তবে যদি ট্রাম্প প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে বহাল থাকে, তাহলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দুই বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। আর বর্তমানে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের ভিসা বজায় রাখতে বাধ্য হয়ে অন্য কোনো মার্কিন কলেজে স্থানান্তর হতে হতে পারে।
এই বিরোধের সূচনা হয় গত ১৬ এপ্রিল। ওই সময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষকে কিছু শিক্ষার্থীর তথ্য দিতে বলেন। যার মাধ্যমে প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য দায়ী করে তাদেরকে ভবিষ্যতে বহিষ্কার করা যেতে পারে।
২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, ‘হার্ভার্ডে ৬৮৬ জন কানাডিয়ান শিক্ষার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির কন্যা ক্লিও কার্নিও। তিনি হার্ভার্ডে সবে তার প্রথম বর্ষ শেষ করেছেন। ক্লিও ‘রিসোর্স এফিসিয়েন্সি প্রোগ্রাম’-এর অধীনে পড়াশোনা করছেন।’
আরেকজন আলোচিত শিক্ষার্থী হলেন বেলজিয়ামের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী রাজকন্যা এলিজাবেথ। তিনি হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে পাবলিক পলিসি বিষয়ে দুই বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষ সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি বেলজিয়ামে অবস্থান করছেন। তবে দ্বিতীয় বর্ষে ফিরতে পারবেন কিনা, তা এখনও অনিশ্চিত।
এ বিষয়ে বেলজিয়াম রাজপ্রাসাদের মুখপাত্র জ্যাভিয়ের বার্ট বলেন, “এ সিদ্ধান্ত রাজকুমারীর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে তা এখনই বলা কঠিন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
এদিকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ট্রাম্প প্রসাশনের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়েছে। হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, “সরকার একটি কলমের আঁচড়ে আমাদের শিক্ষার্থীসংখ্যার এক-চতুর্থাংশকে মুছে দিতে চেয়েছে। অথচ এই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও এর মিশনে অপরিহার্য অবদান রাখছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও জানিয়েছে, “তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে তাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়।” সূত্র: এনডিটিভি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল
- জেরুজালেম ও তেল আবিবে বড় বিস্ফোরণ, ট্রাম্পের জরুরি বৈঠক