ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

আজ হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মদিন

২০২৫ নভেম্বর ১৩ ০৯:২৪:২২

আজ হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মদিন

ডুয়া ডেস্ক: আজ ১৩ নভেম্বর বাংলা সাহিত্যের অমর কণ্ঠ হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

জন্মদিনটি উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নানা কর্মসূচি পালিত হবে। রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশপল্লী জুড়ে মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে দিনটি শুরু হয়। সকালে কেক কাটা, লেখকের কবর জিয়ারতসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ছেলে নিশাত ও নিনিত, নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ভক্তরা।

হুমায়ূন আহমেদের ছোটবেলায় ডাকনাম ছিল কাজল। তার বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদও একজন লেখক ছিলেন। বিশিষ্ট লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও আহসান হাবীব ছিলেন তার ছোট ভাই। বাবার পুলিশ অফিসার হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় পড়াশোনা করতে হয়েছে তাকে। বগুড়া জিলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাস করেন এবং ১৯৬৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে ডিস্টিংশনসহ অনার্স ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার শিক্ষকতা জীবন শুরু হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে, এরপর ঢাবিতে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।

হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ছিলেন শিক্ষক, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, চিত্রকর, গীতিকার, চিত্রনাট্য লেখক, নাট্যনির্দেশক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রবন্ধকার। ছোট ও বড় পর্দায় তার সৃষ্টি আজও বাঙালির মনে অম্লান প্রভাব ফেলে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পলিমার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি অর্জনের পর থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ পাঠক মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

তিন শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে আছে নন্দিত নরকে’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘মাতাল হাওয়া’, ‘বাদশা নামদার’। জনপ্রিয় চরিত্রগুলো- হিমু, রুপা, মিসির আলি, শুভ্র, মির্জা, মিয়ার বেটা, বদি ও বাকের ভাই। নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘আজ রবিবার’।

চলচ্চিত্র নির্মাণেও তার অবদান অপরিসীম। উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’। সর্বশেষ ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত এই সাহিত্য জগতের অমর কণ্ঠ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালীতে নিজ হাতে নির্মিত নুহাশপল্লীর লিচুতলায় সমাহিত করা হয়।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত