ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২

মামদানির জয়ে যা বললেন লন্ডনের মেয়র

২০২৫ নভেম্বর ০৫ ২০:০০:৫৮

মামদানির জয়ে যা বললেন লন্ডনের মেয়র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে অভিনন্দন জানিয়ে তার বিজয়কে ঐতিহাসিক প্রচারণা ও ভয়ের বিপরীতে আশার জয় বলে মন্তব্য করেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে সাদিক খান লিখেছেন, নিউইয়র্কবাসীর সামনে ছিল এক স্পষ্ট পছন্দ—আশা না ভয়। আর যেমনটা আমরা লন্ডনে দেখেছি, এবারও জয়ী হয়েছে আশা।

মার্কিন দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মামদানির এই বিজয়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম দুই নগরীতে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুই উদারপন্থী মুসলিম নেতা—যারা দুজনই অভিবাসী পরিবারের সন্তান। নিজেদের দেশে রাজনীতির ক্রমবর্ধমান ডানপন্থী ধারা ভেঙে উঠে এসেছেন তারা।

সাদিক খানের দপ্তরের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা জানিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে মামদানি বিজয়ী হওয়ার পরপরই তাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে অভিনন্দন জানান লন্ডনের মেয়র।

যদিও দু’জনের রাজনৈতিক অবস্থানে কিছু পার্থক্য রয়েছে—খান যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন মধ্যপন্থী নেতা, আর মামদানি যুক্তরাষ্ট্রের প্রগতিশীল বাম রাজনীতির অন্যতম মুখ।

অভিন্নভাবে ঘৃণার প্রচারণা ও ইসলামভীতিমূলক আক্রমণের শিকার হয়েছেন তারা উভয়েই। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৯/১১ হামলার ছবি ব্যবহার করে মামদানিকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়। একইভাবে ২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র নির্বাচনের আগে সাদিক খানের প্রতিদ্বন্দ্বীও তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

বিজয়োত্তর ভাষণে জোহরান মামদানি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ইহুদিবিদ্বেষ ও ধর্মীয় ঘৃণার বিরুদ্ধে লড়বেন এবং নিউইয়র্ককে এমন এক শহরে রূপ দিতে কাজ করবেন যেখানে মুসলমানরা জানবেন—এ শহর তাদেরও।

তার ভাষায়, নিউইয়র্ক আর কখনো এমন জায়গা হবে না, যেখানে ইসলামবিদ্বেষকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে কেউ নির্বাচনে জিতবে।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত