ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২
বাংলাদেশিদের জন্য বড় দু:সংবাদ: বাতিল হচ্ছে যে দেশের ভিসা
কানাডার প্রশাসন সম্প্রতি এমন একটি উদ্যোগে জোর দিচ্ছে, যার মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা সম্পর্কিত ব্যাপক প্রতারণার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বড় সংখ্যক বিদেশির ভিসা বাতিল করার বিশেষ ক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রস্তাবিত উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য পার্লামেন্টে একটি বিল পেশ করা হয়েছে, যা সরকারের আশা অনুযায়ী দ্রুত অনুমোদন পাবে।
সরকারি নথি অনুযায়ী, অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিভাগ (আইআরসিসি) এবং সীমান্ত পরিষেবা সংস্থা (সিবিএসএ)-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা একটি যৌথ কর্মদল গঠন করেছেন। এই দলটি মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রমণ ভিসার নকল আবেদন চিহ্নিত ও বাতিল করার কাজ করবে এবং এই প্রক্রিয়ায় তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
অভ্যন্তরীণ নথিপত্রে ভারত ও বাংলাদেশকে 'বিশেষ সমস্যা সৃষ্টিকারী রাষ্ট্র' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার প্রেক্ষিতে এই দ্বিগুণ ক্ষমতা প্রদানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন ক্ষমতার ফলে নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিলের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। তবে জনসমক্ষে ইমিগ্রেশনমন্ত্রী লেনা দিয়াব দেশনির্দিষ্ট কোনো উদাহরণ না দিয়ে মহামারি ও যুদ্ধ পরিস্থিতিকে এই প্রয়োজনীয়তার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বিল সি–১২ এবং আইনি উদ্বেগ
বিল সি–১২ দ্রুত অনুমোদনের আশায় পেশ করা হলেও ইতিমধ্যেই এটি আইনগত ও সামাজিক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ৩০টিরও বেশি সুশীল সমাজের সংস্থা এবং মাইগ্র্যান্ট রাইটস নেটওয়ার্কের মতো গোষ্ঠী এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে, এই ক্ষমতা ফেডারেল সরকারের হাতে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বিতাড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ দিতে পারে। অভিবাসন আইনজীবীরাও সন্দেহ করছেন, সরকার কি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার চাপ কমানোর জন্য এই ক্ষমতা চাইছে। আইআরসিসি অবশ্য জানিয়েছে, নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠী বা পরিস্থিতি লক্ষ্য করে করা হয়নি।
কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্য
অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে যে, ভুয়া পর্যটক ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করতে এবং সীমান্তে চাপ কমাতে তারা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুন থেকে অস্থায়ী রেসিডেন্স ভিসা (টিআরভি) আবেদন পর্যবেক্ষণ বৃদ্ধির ফলে মার্কিন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ প্রায় ৯৭ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে ভিসা বাতিলের হারও ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কেন ভারত ও বাংলাদেশকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেবিসি নিউজের প্রশ্নের কোনো সরাসরি উত্তর দেওয়া হয়নি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল: কবে, কখন-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি ফ্রিতে সরাসরি(LIVE) দেখুন
- পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৯৫ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-টোয়েন্টি: যেভাবে দেখবেন লাইভ (LIVE)
- ডিএসই’র দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-২০: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন খেলাটি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৬৮ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- মার্জিন রুল থেকে মিউচুয়াল ফান্ড—সবখানেই আসছে বড় পরিবর্তন
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩য় টি-টোয়েন্টি: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন (LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণার পর শেয়ার দামে রেকর্ড দৌড়