ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২

লোকসান সত্ত্বেও দুই কোম্পানির বড় ডিভিডেন্ড ঘোষণা

আবু তাহের নয়ন
আবু তাহের নয়ন

সিনিয়র রিপোর্টার

২০২৫ অক্টোবর ২৯ ১২:০৭:৪১

লোকসান সত্ত্বেও দুই কোম্পানির বড় ডিভিডেন্ড ঘোষণা

আবু তাহের নয়ন: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি ভিন্ন খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি এসিআই লিমিটেড এবং বাটা শু কোম্পানি সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে লোকসান দেখালেও বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় অঙ্কের ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, যা শেয়ারবাজারে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই লোকসানের মধ্যেও এমন উদার ডিভিডেন্ড ঘোষণা মূলত কোম্পানি দুটির আর্থিক স্থিতিশীলতা, অতীতের সংরক্ষিত মুনাফা এবং ভবিষ্যতে বাজারকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এসিআই লিমিটেড তাদের ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কিন্তু কোম্পানিটির প্রকাশিত সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সমাপ্ত অর্থবছরে তারা শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৪০ পয়সা লোকসান করেছে। তবে স্বস্তির দিক হলো, এই লোকসান গত অর্থবছরের লোকসান ১৫ টাকা ৮৮ পয়সা থেকে প্রায় অর্ধেক কমেছে। লোকসান কমার কারণ হিসেবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অর্থবছর চলাকালীন তাদের সমন্বিত রাজস্ব ১০.৯৩ শতাংশ এবং গ্রস মুনাফা ১৫.৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ব্যয় নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে সম্ভব হয়েছে। তবে এই লোকসান সত্ত্বেও, কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি নিট ক্যাশ ফ্লো ৫১ টাকা ৬৩ পয়সা হয়েছে। যেখানে আগের বছর ছিল মাইনাস ৫১ টাকা ৬৩ পয়সা। এসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে এবং ডিভিডেন্ড পাওয়ার রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর, ২০২৫।

অন্যদিকে, পাদুকা প্রস্তুতকারী বহুজাতিক কোম্পানি বাটা সু কোম্পানি তাদের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৫) আর্থিক ফলাফল ঘোষণার পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৪৩ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যদিও বাটা সু'র তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১০ টাকা ৫৬ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৯ টাকা ৩৪ পয়সা; কিন্তু বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৫) কোম্পানিটি সমন্বিতভাবে ৯ টাকা ৩২ পয়সা শেয়ারপ্রতি মুনাফায় রয়েছে। তবে এই ৯ মাসের মুনাফা গত বছর একই সময়ের মুনাফা ১৭ টাকা ৮১ পয়সা থেকে কম। বাটা সু-এর একটি শক্তিশালী দিক হলো তাদের নিট ক্যাশ ফ্লো, যা প্রথম ৯ মাসে ৪৬ টাকা ২৬ পয়সায় পৌঁছেছে— যা উন্নত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ফল। এই শক্তিশালী ক্যাশ ফ্লো’ই লোকসানে থাকা প্রান্তিকের পরও কোম্পানিকে বড় ডিভিডেন্ড দেওয়ার সাহস যুগিয়েছে। বাটা সু-এর অন্তর্বর্তীকালীন ডিভিডেন্ড পাওয়ার রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ নভেম্বর, ২০২৫।

এই দুই কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে, যেখানে ঝুঁকি ও রিটার্নের হিসাব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীরা দুই কোম্পানির ভবিষ্যত বিনিয়োগ নিয়ে খুব আশাবাদী।

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত