ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
নারী আসনে ঐকমত্যের নতুন সূত্র
সংরক্ষিত ৫০টি রেখে ৭% আসনে সরাসরি মনোনয়নের প্রস্তাব
.jpg)
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অবশেষে জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের জটিল বিতর্কে একটি সম্ভাব্য সমাধানের পথ দেখিয়েছে। কমিশনের সংশোধিত প্রস্তাব অনুযায়ী, নারীদের জন্য বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখা হবে এবং একই সাথে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকৃত মোট আসনের অন্তত ৭ শতাংশে সরাসরি নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে। এই প্রস্তাবটি বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের ২২তম দিনে উপস্থাপন করা হয়।
কমিশনের প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো, ধাপে ধাপে সরাসরি নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করা। এর কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, যদি কোনো রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে ১০০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তবে তাদের কমপক্ষে ৭ জন নারী প্রার্থীকে সরাসরি ভোটে লড়ার জন্য মনোনয়ন দিতে হবে। একইভাবে, ৩০০ আসনে অংশ নিলে নারী প্রার্থীর সংখ্যা হবে অন্তত ২১ জন।
এই রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রথমে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ৭ শতাংশ আসনে নারী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা হবে। এরপর, ১৪তম জাতীয় নির্বাচনে এই হার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে। কমিশন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনে এই হার পর্যায়ক্রমে ৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাবে, যতক্ষণ না সরাসরি নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা ১০০ জনে পৌঁছায়। পঞ্চদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক নারীকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যাতে ১০০ জন নারী জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত হতে পারেন।
উল্লেখ্য, নারী আসন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই মতপার্থক্য চলে আসছিল। এর আগে সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশন ১০০টি নারী আসনে সরাসরি ভোটের প্রস্তাব দিয়েছিল, যা বামপন্থী দলগুলো সমর্থন করলেও বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল তাতে রাজি হয়নি। কমিশন গত ১৪ জুলাই যে সংশোধিত প্রস্তাব দিয়েছিল, যেখানে ২৫টির বেশি আসনে মনোনয়ন দেওয়া দলগুলোকে নূন্যতম এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, সেটিও অধিকাংশ দলের বিরোধিতার মুখে পড়ে। পরবর্তীতে বিএনপির পক্ষ থেকে বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রেখে ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা সম্ভবত বর্তমান ঐকমত্যের প্রস্তাবের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে।
বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনীতে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের মেয়াদ ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই নতুন প্রস্তাব গৃহীত হলে, সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের সরাসরি অংশগ্রহণ আরও সুদৃঢ় হবে এবং সংসদে নারীর কার্যকর প্রতিনিধিত্বের পথ প্রশস্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- এক কোম্পানির দাপটেই চাঙা শেয়ারবাজার
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চাহিদার তুঙ্গে ১০ কোম্পানির শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১৮ প্রতিষ্ঠান
- শেয়ারবাজারে চলছে বহুজাতিক কোম্পানির ডিভিডেন্ড উৎসব
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ২৩ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ১১ খবর