ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২

সাফকো স্পিনিং মিলসের

শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ২১:১৪:৪১

শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ার কারসাজির দায়ে ১২ জনকে মোট ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত সময়ে একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশ করে সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়। ওই সময় কোম্পানির শেয়ারের দাম ১০ টাকা থেকে বেড়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সায় পৌঁছায়। অর্থাৎ মাত্র এক মাস ১৮ দিনে দাম বেড়ে যায় ২১৫ শতাংশ। এভাবেই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে বিপুল মুনাফা হাতিয়ে নেন অভিযুক্তরা।

তদন্তে জানা যায়, সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ার কারসাজিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মো. সজিব হোসেন ও মো. সুলেমান। তাদের সহযোগিতা করেছেন আরও ১০ জন ব্যবসায়ী—যাদের মধ্যে রয়েছেন মো. শরিফ, তাসলিমা বেগম, আব্দুল কুদ্দুস আমিন, একেএম খলিলুর রহমান, নুরুন্নেসা সাকি, মো. বেলাল হোসেন, আরিফা বেগম লাকি, তারান্নুম সাফি, মাহমুদা আক্তার ও কাজী মহিউদ্দীন আহমেদ।

বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মো. সজিব হোসেনকে সর্বোচ্চ ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং মো. সুলেমানকে ৬৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মো. শরিফকে ৩৩ লাখ, তসলিমা বেগম ও সজিব হোসেনকে যৌথভাবে ২৭ লাখ, আব্দুল কুদ্দুস আমিনকে ২৭ লাখ, একেএম খলিলুর রহমানকে ২৪ লাখ, নুরুন্নেসা সাকিকে ১৯ লাখ, মো. বেলাল হোসেনকে ৯ লাখ, আরিফা বেগম লাকিকে ৮ লাখ, তারান্নুম সাফিকে ৪ লাখ ৫০ হাজার এবং মাহমুদা আক্তার ও কাজী মহিউদ্দীন আহমেদকে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

বিএসইসির মতে, অভিযুক্তরা ইচ্ছাকৃতভাবে বাজারে কৃত্রিমতা সৃষ্টি করে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছেন। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত অর্থ কমিশনের অনুকূলে জমা দিতে হবে, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাফকো স্পিনিং মিলস ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। সর্বশেষ ২০২২ সালের হিসাব বছরের পর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মাত্র ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে কোম্পানিটি। এরপর আর কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭.০৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬২.৯২ শতাংশ শেয়ার।

এএসএম/

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত