ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৩ ২৩:৪৩:১৫

রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন স্থগিত রাখার বর্তমান নিয়মটি বাতিল করার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে বাজারের দক্ষতা বাড়ানো, লেনদেনে সৃষ্ট বাধা দূর করা এবং দেশের শেয়ারবাজারকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে ডিএসই।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ডিএসই গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-কে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে ডিপোজিটরি (ইউজার) রেগুলেশনস ২০০৩ এবং সেটেলমেন্ট অব ট্রানজেকশনস রেগুলেশনস ২০১৩ সংশোধনের অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে রেকর্ড ডেটে স্পট ট্রেডিং চালু করা যায়।

বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো কোম্পানির রেকর্ড ডেট থাকলে সেই দিন সেই শেয়ারের লেনদেন বন্ধ থাকে। রেকর্ড ডেট হলো এমন একটি তারিখ, যা নির্ধারণ করে কোন শেয়ারহোল্ডাররা বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)/বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) ভোট দিতে পারবেন এবং ডিভিডেন্ড, রাইটস বা বোনাস শেয়ারের জন্য যোগ্য হবেন।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালু থাকলে বিক্রেতা তাদের শেয়ারের জন্য কর্পোরেট সুবিধা পাবেন, কিন্তু ক্রেতা কোনো সুবিধা পাবেন না। ডিএসই মনে করে, এই সংস্কার শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং লেনদেনকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করবে।

ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “এই উদ্যোগ শেয়ারবাজারকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করবে। অন্যান্য দেশে রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকে না, এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত বিষয়।” তিনি আরও বলেন, “লেনদেন বন্ধ না থাকলে বাজারের তারল্য এবং লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ৩৬৫টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি রয়েছে। যদি প্রতিটি কোম্পানির শেয়ার বছরে একদিন করে লেনদেন বন্ধ থাকে, তাহলে ৩৬৫ দিন প্রয়োজন। কিন্তু বছরে মাত্র ২২০-২২৫ দিন লেনদেন হয়। ফলে একই দিনে একাধিক কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকে, যা টার্নওভার কমিয়ে দেয় এবং বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।”

ডিএসই তাদের চিঠিতে নিশ্চিত করেছে, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) প্রযুক্তিগতভাবে রেকর্ড ডেটে লেনদেন চালু করতে সক্ষম। ব্যাক-অফিস এবং ওএমএস ভেন্ডররাও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, গত কয়েক বছরে বাজারে ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়েনি, যা বাজারকে সংকুচিত করেছে। তারা আরও যোগ করে বলেন, উন্নত বিশ্বের শেয়ারবাজারগুলোতে লেনদেন বন্ধ না রেখেও বিনিয়োগকারীদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা সম্ভব। যদি আমাদের বাজারেও এমন ব্যবস্থা চালু করা যায়, তাহলে বিনিয়োগকারীদের কার্যক্রম বাড়বে।

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত