ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৫৯ বিলিয়ন ডলার

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ ২২:০৫:৪৩

বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৫৯ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ৩০.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দিনশেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত দাঁড়িয়েছে ৩০.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী হিসাব করলে এই অঙ্ক ২৫.৭৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।

এর আগে গত সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) কাছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করার পর রিজার্ভ ৩০.৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল। তখন বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫.৩৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেকটি নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব রয়েছে, যা কেবল আইএমএফকে দেওয়া হয় কিন্তু জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয় না।

বিশ্ব মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখন প্রায় সীমান্তরেখা অতিক্রম করে কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে। প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ থেকে আসা ডলারই মূলত রিজার্ভ গঠন করে। অন্যদিকে আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ, বিদেশি কর্মীদের পারিশ্রমিক, শিক্ষা ও ভ্রমণ খরচসহ নানা খাতে ডলার ব্যয় হওয়ায় রিজার্ভ হ্রাস পায়।

সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়নি, বরং উল্টো বাজার থেকে ডলার কিনেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১৩.৪০ কোটি ডলার এবং ২ সেপ্টেম্বর আটটি ব্যাংক থেকে ৪.৭৫ কোটি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ২৪৭.৭৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স (প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা) এসেছে। আগস্টে এসেছে ২৪২.২০ কোটি ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল ওই অর্থবছরের রেকর্ড। পুরো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার— যা আগের বছরের তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই অঙ্ক ছিল ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুন শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫.৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩.৬৮ বিলিয়ন ডলারে। এরপর ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায় এবং একই বছরের অক্টোবরে অতিক্রম করে ৪০ বিলিয়ন ডলার। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট সর্বোচ্চ ৪৮.০৪ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। তবে পরে ডলার সংকট দেখা দেওয়ায় রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত