ঢাকা, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২
নির্বাচনে গুজব মোকাবিলায় ‘ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার’ গঠনের সিদ্ধান্ত
.jpg)
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আয়োজনের লক্ষ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে নিবিড় সমন্বয় জোরদার করার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছড়ানো গুজব ও অপপ্রচার ঠেকাতে একটি ‘ন্যাশনাল ইনফোকমেশন সেন্টার’ স্থাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম জানান, এটি ছিল নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিতীয় সমন্বয় সভা। বৈঠকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় প্রতিষ্ঠার ওপর। তিনি বলেন, "বৈঠকে প্রথমে আলোচনা হয়েছে কো-অর্ডিনেশন বা সমন্বয় নিয়ে। সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে লোকাল ও ন্যাশনাল—উভয় পর্যায়েই দ্রুততার সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য বারবার জোর দেওয়া হয়েছে, যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।"
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ বাহিনীকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রেস সচিব জানান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বৈঠকে অবহিত করেছেন যে, নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাস জুড়ে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণে নির্বাচনী আইন, আচরণবিধি, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং ভোটারদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
গুজব ও অপপ্রচার মোকাবিলায় ‘ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গুজব ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে সরকার। এই ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি বিশেষ সেল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, "নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রচুর ভুল তথ্য (মিস-ইনফরমেশন) ছড়িয়ে পড়েছে এবং ভবিষ্যতে এটা আরও বাড়তে পারে। এটি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য একটি ‘ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার’ স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রটি সার্বক্ষণিকভাবে গুজব ও অপপ্রচার শনাক্ত করবে, সঠিক তথ্য যাচাই করবে এবং জনগণের কাছে সত্য তথ্য পৌঁছে দেবে। এ বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয়েছে।"
এই সভা প্রমাণ করে, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং একটি স্বচ্ছ ও নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১৯ কোম্পানি
- বহুজাতিক কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রত্যাবর্তন
- এক কোম্পানির দাপটেই চাঙা শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজারের উত্থান কি টেকসই হবে? বিশ্লেষকরা যা বলছেন
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১২ কোম্পানি
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ২২ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৪ কোম্পানির শেয়ার
- চাহিদার তুঙ্গে ১০ কোম্পানির শেয়ার
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় বহুজাতিক তিন কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার