ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২
মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস পিএলসি তার মুনাফা বাড়ানোর জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। মাত্র ৮০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে দুটি নতুন জ্বালানি-সাশ্রয়ী প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে কোম্পানিটি, যা থেকে বছরে ৯৫ লাখ টাকার বেশি অতিরিক্ত মুনাফা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ একটি হট ওয়াটার জেনারেশন সিস্টেম মেশিন এবং একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সস্ট গ্যাস বয়লার (ইজিবি) স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই পুরো বিনিয়োগটি কোম্পানি নিজস্ব তহবিল থেকে করা হবে।
এই প্রযুক্তি দুটি ব্যবহার করে কোম্পানি তাদের বিদ্যমান গ্যাস জেনারেটর থেকে উৎপন্ন বর্জ্য তাপকে কাজে লাগাতে পারবে, যার ফলে গ্যাসের উপর নির্ভরতা কমবে। সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে যখন অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কমে গেছে, তখন এই কৌশলটি কোম্পানির জন্য একটি বড় স্বস্তি নিয়ে আসবে।
কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুটি মেশিন স্থাপন করা হলে প্রতি মাসে আনুমানিক ৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বা বছরে ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার গ্যাস খরচ বাঁচবে।
হট ওয়াটার জেনারেশন সিস্টেম মেশিন: এই মেশিনের জন্য ব্যয় হবে ৪০ লক্ষ টাকা। এটি জেনারেটর থেকে উৎপন্ন গরম পানিকে অতিরিক্ত বাষ্পে রূপান্তরিত করবে। এর ফলে বর্তমান বয়লার সিস্টেমে মাসিক গ্যাস খরচ প্রায় ৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা কমবে, যা বছরে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা যোগ করবে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সস্ট গ্যাস বয়লার (ইজিবি): এই প্রকল্পের খরচও ৪০ লক্ষ টাকা। এটি জেনারেটর থেকে নির্গত নিষ্কাশন গ্যাসকে কাজে লাগিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ২৪ টন বাষ্প উৎপাদন করবে। এর ফলে মাসিক গ্যাস খরচ ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা কমবে, যা বছরে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি মুনাফা বাড়াবে।
এই বিনিয়োগটি এমন এক সময়ে আসছে, যখন হাক্কানী পাল্প তার আর্থিক অবস্থার উন্নতির লক্ষণ দেখাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে কোম্পানির রাজস্ব ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৮ লাখ ২৭ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে, কোম্পানির নিট মুনাফা ৮৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা হয়েছে। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ পয়সায়।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ অর্থবছর কোম্পানির জন্য কঠিন ছিল, যখন নিট মুনাফা ৯৫ শতাংশ কমে মাত্র ৭ লাখ ৮ হাজার টাকা হয়েছিল। সেই কারণে কোম্পানিটি মাত্র ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল, যা ৫ শতাংশের কম হওয়ায় এটি স্টক এক্সচেঞ্জে 'বি' ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মাথাব্যথার ১১ শেয়ার
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- মুনাফা কমলেও ডিভিডেন্ড বেড়েছে ওয়ালটনের