ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

এ মাসেই মেট্রো রেলে চাকরি পাচ্ছেন আবুল কালামের স্ত্রী আইরিন

২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৩:৩৯:১৫

এ মাসেই মেট্রো রেলে চাকরি পাচ্ছেন আবুল কালামের স্ত্রী আইরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: মেট্রো রেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত পথচারী আবুল কালামের স্ত্রী আইরিন আক্তার (পিয়া) শিগগিরই মেট্রো রেলে চাকরি পেতে যাচ্ছেন। কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেই এ মাসের মধ্যেই তাকে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ইতোমধ্যে তার জন্য ১৬তম গ্রেডের তিনটি পদ বিবেচনা করা হচ্ছে।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, আইরিন আক্তারের স্নাতক ডিগ্রি এখনো সম্পন্ন হয়নি। তাই তার উচ্চমাধ্যমিক সনদের ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হবে। বিবেচনাধীন পদগুলোর মধ্যে রয়েছে টিকিট মেশিন অপারেটর (টিএমও), কম্পিউটার অপারেটর, এবং কাস্টমার রিলেশন সহকারী।

  • টিকিট মেশিন অপারেটরের কাজ হবে স্টেশন কাউন্টারে টিকিট বিক্রি ও রিচার্জ সেবা দেওয়া।
  • কম্পিউটার অপারেটরের দায়িত্ব মূলত ডিএমটিসিএলের প্রধান কার্যালয়ে, তবে স্টেশনেও কিছু কাজ রয়েছে।
  • কাস্টমার রিলেশন সহকারী হিসেবে যাত্রীসেবায় যুক্ত থাকতে হবে।

সবগুলো পদেই বেতন ও ভাতা মিলে মাসিক আয় হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকার বেশি।

গত রবিবার আইরিন আক্তার ও নিহত আবুল কালামের পরিবারের সদস্যরা উত্তরার দিয়াবাড়ীতে ডিএমটিসিএলের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। সেখানেই তাকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়। ইতোমধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ অন্যান্য নথি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

ডিএমটিসিএলের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টার ঘোষণানুসারে পাঁচ লাখ টাকার সহায়তা ইতোমধ্যেই প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি আবুল কালামের পরিবারকে নিয়মিত আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে রেখে মাসে মাসে পরিবারকে দেওয়া যায়।

এদিকে, হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সম্প্রতি জানতে চেয়েছে, নিহত আবুল কালামের পরিবারকে অবিলম্বে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, “আবুল কালামের পরিবারকে আমরা সব ধরনের সহায়তা করতে চাই। আইরিন আক্তারকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। আদালতের নির্দেশনাও আমরা মেনে চলব। মানুষের প্রাণের বিনিময়ে কিছুই হতে পারে না আমরা যা করছি তা মানবিক সহায়তা। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে, সেটিই এখন মূল লক্ষ্য।”

ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে আইরিন আক্তারের কাছ থেকে একটি আবেদনপত্র নেওয়া হবে, যার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে। পরে বিষয়টি বোর্ডের অনুমোদনের জন্যও উপস্থাপন করা হবে।

সূত্র অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আইরিন আক্তার তার স্নাতক সম্পন্ন করলে উচ্চতর পদে পদোন্নতি পাবেন। তখন তার মাসিক বেতন ৮০ হাজার টাকার বেশি হতে পারে।

আইরিন আক্তার বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ মহিলা কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। তবে তিনি এখনো স্নাতক পরীক্ষা শেষ করতে পারেননি।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত