ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২
'নির্বাচন কমিশন সার্ভিস' চালুর দাবি ইসি কর্মকর্তাদের
.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা 'নির্বাচন কমিশন সার্ভিস' নামে একটি স্বতন্ত্র সার্ভিস চালুর লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন দ্রুত সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইসিএএ) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার মূল দায়িত্ব নিজস্ব কর্মকর্তাদের হাতে ন্যস্ত করারও দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিইসিএএ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সম্প্রতি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির সভায় কর্মকর্তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে পাঁচ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। বদিউল আলম মজুমদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পৃথক সার্ভিস সৃষ্টির সুপারিশ করেছিল। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯-এর সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন সংশোধনে বলা হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য 'নির্বাচন কমিশন সার্ভিস' নামে একটি পৃথক সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিদ্যমান ইসি সচিবালয় আইন সংশোধনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বিইসিএএ-এর পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: 'নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ–২০২৫' দ্রুত জারি করে 'নির্বাচন কমিশন সার্ভিস' গঠন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান; পদসৃজন, আপগ্রেডেশন ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিকসহ প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম অনুমোদন; 'জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩' বাতিল করে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর।
এছাড়াও, অ্যাসোসিয়েশনের যৌক্তিক প্রস্তাব বাস্তবায়নে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন ভবনে কমিশন সদস্যদের উপস্থিতিতে জরুরি সাধারণ সভা আয়োজনের লক্ষ্যে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সভা আহ্বান এবং উপজেলা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি ও কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে।
ঐতিহ্যগতভাবে সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ইসি কর্মকর্তারা তাদের সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। তবে উপ-নির্বাচনগুলোতে ইসি কর্মকর্তারা সরাসরি দায়িত্ব পালন করেন। এবার তারা সাধারণ নির্বাচনেরও মূল দায়িত্ব নিতে আগ্রহী।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান